প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
গোটা রাজ্যের যারা তৃণমূল বিরোধী মানুষ, তারা সকলেই চাইছে যে, এবার বিজেপি এমনভাবে লড়াই করুক, যাতে তারা ক্ষমতায় আসে। অন্তত ২০২১ এর মত যেন তাদের অবস্থা না হয়। এমনকি বিজেপি নেতারাও তার জন্য চূড়ান্ত প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তবে বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে নেতাদেরও তো লড়াই করতে হবে। তাই কর্মীদের উন্মাদনাকে বাড়িয়ে দিয়ে দুর্গাপুরে নরেন্দ্র মোদীর সভা থেকে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনিও যে একেবারে বুক চিতিয়ে লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন, তা জানিয়ে দিলেন মহাগুরু মিঠুন চক্রবর্তী।

এদিন দুর্গাপুরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সভায় বিজেপি কর্মীদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মত। সকলেই কৌতুহলী হয়ে পড়েছিলেন যে, এদিনের এই সভা থেকে নরেন্দ্র মোদী ঠিক কি বার্তা দেন! তবে তার বক্তব্যের আগেই বিজেপি নেতা তথা বিশিষ্ট অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী বিজেপি কর্মীদের বুঝিয়ে দিলেন যে, এবারের লড়াই মরণ-বাচনের লড়াই। তাই এবারের লড়াইকে ঠিকমত ঐক্যবদ্ধ হয়ে লড়তে হবে, যাতে বিজেপি ক্ষমতায় আসে। পাশাপাশি তিনিও যে সেই লড়াইয়ের শরিক হিসেবে একেবারে সামনে থেকে ময়দানে নামবেন, সেই দিন, তারিখ জানিয়ে রীতিমত শাসকের উদ্দেশ্যে হুংকার ছাড়লেন মহাগুরু।

এদিন মিঠুন চক্রবর্তী বলেন, “২৩-২৪ তারিখ থেকে পুরো মাঠে নামব। সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলব। পুলিশ একটু নিরপেক্ষ হোক, তারপর দেখুন, বিজেপি কি করতে পারে! বিজেপি হেরে যাওয়ার পাত্র নয়। আমি সমঝোতার রাজনীতি করি না। বুক চিতিয়ে লড়াই করব। পেছন থেকে নয়, সামনে থেকে হামলা করো।”

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মিঠুন চক্রবর্তীর এই বার্তা বিজেপি কর্মীদের উন্মাদনা বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট। কেননা পুলিশ দিয়ে ভয় দেখিয়ে তৃণমূলের গুন্ডারা প্রত্যেক জায়গায় বিজেপি কর্মীদের দমিয়ে রাখার চেষ্টা করছে বলেই অভিযোগ করে গেরুয়া শিবির‌। তাই কর্মীদের মনোবলকে আরও চাঙ্গা করার জন্য তিনিও যে কর্মীদের সঙ্গে একেবারে সামনে থেকে তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়াই করবেন, তা জানিয়ে দিলেন মিঠুন চক্রবর্তী। স্বাভাবিকভাবেই ২০২৬ এর নির্বাচনের আগে কর্মীদের মনোবল বাড়ানোর ক্ষেত্রে মিঠুন চক্রবর্তীর এই বার্তা পদ্ম শিবিরের কাছে অত্যন্ত গ্রহণযোগ্য হয়ে উঠবে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।