প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
সম্প্রতি তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে রাজভবনের দ্বৈরথ ঘিরে উত্তাল হয়ে উঠেছিল রাজ্য রাজনীতি। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছে যায় যে, রাজভবন খালি করে দিয়ে কল্যান বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্যকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বম্ব স্কোয়াড দিয়ে তল্লাশি চালান রাজ্যপাল। প্রমাণ করে দেন যে, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় রাজভবনে বিস্ফোরক মজুত আছে বলে যে মন্তব্য করেছিলেন, তার সবটাই ভিত্তিহীন। আর তারপর সেই তৃণমূল সাংসদের বিরুদ্ধে হেয়ার স্ট্রিট থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। তবে বিরোধীদের বক্তব্য যে, এই রাজ্যের পুলিশ তৃণমূল সাংসদের বিরুদ্ধে হয়তো কোনো ব্যবস্থাই নেবে না, রাজ্যপাল অভিযোগ করার পরেও হয়ত পুলিশের নিষ্ক্রিয়তা সামনে আসবে। কিন্তু যদি সেরকম কিছু হয়, তাহলে রাজ্যপাল যেন গোটা বিষয়ে এখানেই থেমে না থাকেন, পরবর্তীতে পুলিশের নিষ্ক্রিয়তার বিরুদ্ধে যেন তিনি পদক্ষেপ গ্রহণ করেন, এদিন তেমনটাই আর্জি জানালেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
এতদিন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে রাজ্যপালের দ্বৈরথ ঘিরে রাজ্য রাজনীতির সরগরম থাকলেও, তাকে খুব একটা গুরুত্ব দিতেন না রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বারবার করে জানিয়ে দিয়েছিলেন যে, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মত একজন মাতালের বক্তব্যের তিনি প্রতিক্রিয়া দেবেন না। তবে গতকালই সেই তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে হেয়ার স্ট্রিট থানায় অভিযোগ দায়ের করেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। আর আজ পুলিশ যদি পদক্ষেপ না নেয়, তাহলে তার পরবর্তী পদক্ষেপ হিসেবে রাজ্যপাল যেন আরও বড় স্টেপ নেন, সেই কথাই তুলে ধরলেন শুভেন্দু অধিকারী।
এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আর সেখানেই রাজ্যপাল যে সমস্ত ধারায় কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন হেয়ার স্ট্রিট থানায়, সেই বিষয়ে তাকে প্রশ্ন করা হয়। যে প্রশ্নের উত্তরে শুভেন্দুবাবু বলেন, “রাজ্যপাল মহোদয় ঠিক করেছেন। যদিও আমি ওকে পার মাতাল বলি। কিন্তু গভর্নর সাহেব ঠিকই করেছেন। কারণ রাজভবনের বাইরের পুরো নিরাপত্তার দায়িত্বটা এবং সিসিটিভিটা কলকাতা পুলিশের হাতে। সেখানে যদি কোনো ঝোপেঝাড়ে অস্ত্র ফেলে দিয়ে যায়, পরবর্তীকালে রাজ্যপাল এবং রাজভবন দুটোই কালিমা লিপ্ত হতে পারে। তাই তিনি যে ব্যবস্থাগুলো নিয়েছেন রাজভবনের মর্যাদা এবং সাংবিধানিক পদের গরিমা রক্ষা করার জন্য। এই ভয়ংকর তৃণমূল কংগ্রেস এবং তার ভয়ংকর এই যে পুলিশ, এক্ষেত্রে তিনি সতর্কীকরণ হিসেবে যে যে ব্যবস্থাগুলো নিচ্ছেন, সঠিক। আর এফআইআর তিনি বিএনএসের অন্তর্গত নির্দিষ্ট ধারাতে করেছেন, সেই ধারাতে ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগ রয়েছে। আশা করি, শুধু এফআইআরের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে না। যদি পুলিশ এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেয়, তাহলে পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার কারণে মামলা বা সেন্ট্রাল এজেন্সিকে মামলা ট্রান্সফারের জন্যও আমি দাবি করব এবং উদ্যোগ নেব।”