প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
আজ অভয়ার পরিবারের ডাকে ছিল নবান্ন অভিযান। আর সেই নবান্ন অভিযানের যে চিত্র সামনে এলো, তা দেখে তাজ্জব রাজ্যবাসী। পুলিশ যে এই নবান্ন অভিযানকে আটকাতে সব রকম পরিকল্পনা আগেভাগেই করেছিল, তা সকলেই জানে। কিন্তু যাদের সন্তান চলে গিয়েছে এই পৃথিবী ছেড়ে, তারা বিচারের দাবিতে রাস্তায় নেমেছিল। আর পুলিশ নবান্ন অভিযানকে আটকাতে অভয়ার মায়ের ওপরেই যেভাবে লাঠিচার্জ করলো, যেভাবে তার মায়ের কপাল ফুলে গেল লাঠির আঘাতে, তাতে গোটা রাজ্যবাসী প্রতিবাদ করতে শুরু করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশাসনের বিরুদ্ধে। এদিকে অভয়ার মা যখন গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি হলেন, ঠিক তখনই আন্দোলনকে স্তব্ধ রেখে অভয়ার মাকে দেখতে হাসপাতালে ছুটলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

বলা বাহুল্য, এদিন নবান্ন অভিযানে অংশ নেন অভয়ার মা এবং বাবা। তারাই নেতৃত্ব দিয়ে এই মিছিলকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন। কিন্তু মাঝপথেই শুরু হয় পুলিশের নির্যাতন। অভিযোগ, পুলিশ অভয়ার মাকেও আক্রমণ করতে ছাড়েনি তাকেও লাঠিচার্জ করা হয়েছে তার হাতের শাখা ভেঙে গিয়েছে। এমনকি তার মাথাতেও আঘাত লেগেছে। তাই অতি তৎপরতা সহকারে আন্দোলনের মাঝেই তাকে হাসপাতালে পৌঁছে দেওয়া হয়। আর দায়িত্ব নিয়ে সেই আন্দোলন স্থগিত রেখে সেই অভয়ার মাকে দেখতে হাসপাতালে ছুটে যান রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রাজ্যের বিরোধী দলনেতা হিসেবে যা করার দায়িত্ব এবং কর্তব্য, ঠিক সেটাই করছেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি প্রমাণ করে দিয়েছেন যে, তিনি শুধুমাত্র বিজেপির বিরোধী দলনেতা নন। তিনি সাধারণ মানুষের নেতা হয়ে, সকলের নয়নের মনি হয়ে উঠেছেন। অভয়ার মা, বাবা যে আন্দোলনে ডাক দিয়েছিলেন, তাতে অরাজনৈতিকভাবে অংশ নিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। কিন্তু সেখানে অভয়ার মা আক্রান্ত হওয়ার পরেই নিজের দায়িত্ব এবং কর্তব্য স্মরণে রেখে যে মা নিজের মেয়েকে হারিয়ে কষ্টে রয়েছেন, সেই মা যখন নিজেই আক্রান্ত, তাকে দেখতে, তার পাশে থাকতে সরাসরি হাসপাতালে পৌঁছে গেলেন শুভেন্দু অধিকারী। যা মানবতার অনন্য নজির হিসেবে দৃষ্টান্ত স্থাপন করলো বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।