প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ২০২৬ এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে এখন বিজেপি শাসিত রাজ্যে বাংলা ও বাঙালি হেনস্থা হচ্ছে বলে অভিযোগ করছেন। আর সেই বিষয়টিকে সামনে রেখে সাধারণ মানুষের ভোট পাওয়ার জন্য পরিযায়ী শ্রমিকরা অন্য রাজ্যে সুরক্ষিত নয় বলে সেই সমস্ত পরিযায়ীদের জন্য একটি নতুন প্রকল্পের ঘোষণা করেছেন। যেখানে তাদের পাঁচ হাজার টাকা করে দেওয়ার ঘোষণা করা হয়েছে। তবে মুখ্যমন্ত্রীর এই ঘোষণার পরেই বাংলা থেকে যে সমস্ত শ্রমিকরা বাইরের রাজ্যে গিয়ে কাজ করেন, তারা হতাশা প্রকাশ করে জানিয়েছিলেন যে, তারা কোনমতেই পশ্চিমবঙ্গে যেতে চায় না। কারণ পশ্চিমবঙ্গে পাঁচ হাজার টাকা দিয়ে ভোট কেনার চেষ্টা করছেন মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী। তারা অন্য রাজ্যে অত্যন্ত বেশি টাকা পেয়ে ভালো আছেন। আর বাংলা থেকে অন্য রাজ্যে যাওয়া পরিযায়ী শ্রমিকদের পক্ষ থেকে মুখ্যমন্ত্রীর এই প্রকল্প প্রত্যাখ্যাত হতেই রীতিমত চাপে পড়ে যায় নবান্ন। আর এবার পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য মুখ্যমন্ত্রী যে প্রকল্পের ঘোষণা করেছিলেন, এবং তার পরিপ্রেক্ষিতে সেই সমস্ত পরিযায়ী শ্রমিকরা যে কথা বলেছেন, তাকেই হাতিয়ার করে মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

প্রসঙ্গত, গতকাল আরামবাগের খানাকুলে পরিবর্তন সংকল্প যাত্রায় উপস্থিত হন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। যেখানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরেন তিনি। এই রাজ্য সরকার যেভাবে প্রতিটি ক্ষেত্রে মিথ্যাচার করছে, তার পর্দাফাঁস করে দেন বিরোধী দলনেতা। পাশাপাশি পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য মুখ্যমন্ত্রী যে ৫০০০ টাকার ব্যবস্থা করেছেন, তা যে উল্টে সেই শ্রমিকদের অপমান করা, সেই কথাও তুলে ধরেন শুভেন্দুবাবু।

শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “কি মুখের ভাষা! বলছে, পরিযায়ী শ্রমিকরা ফিরে আসুন। পাঁচ হাজার টাকা করে দেব। পরিযায়ী শ্রমিকরা তামিলনাড়ু থেকে, রাজস্থান থেকে উত্তর দিয়েছে। বলেছে, মাননীয়া শুভ নন্দন। আমরা ওখানে যাব না, আমরা এখানে পাঁচ হাজার টাকা করে কামাই। ওখানে গিয়ে আপনার ঢপের চপ খাব না।” বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই রাজ্যে যদি কাজ থাকত, তাহলে অন্য রাজ্যে আর পরিযায়ী শ্রমিকদের যেতে হত না। আর এখন মুখ্যমন্ত্রী সেই সমস্ত পরিযায়ী শ্রমিকদের মন পাওয়ার জন্য এবং বিজেপিকে চাপে ফেলতে তাদের রাজ্যে ফিরে আসার বার্তা দিচ্ছেন। আর তাদের ৫ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে বলছেন। কিন্তু যে পরিযায়ী শ্রমিকরা পশ্চিমবঙ্গে কাজ না পেয়ে অন্য রাজ্যে গিয়ে অনেক বেশি টাকা উপার্জন করেন, তাদের কাছে এই ৫ হাজার টাকা দিয়ে কি হবে? এক্ষেত্রে ভোটের পরেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভোকাট্টা হয়ে যাবেন। তখন আর তার দেখা পাওয়া যাবে না এবং এই প্রকল্পও দেবে না রাজ্য সরকার বলেই বুঝিয়ে দেন শুভেন্দু অধিকারী।