প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- তৃণমূলে এখন যদি কেউ দলীয় পদ পেতে চায়, তাহলে তাকেও টাকা দিয়ে সেই পদ নিতে হয়। এই অভিযোগ তুলে বিরোধীরা মাঝেমধ্যেই তৃণমূলকে প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি বলে কটাক্ষ করে। বর্তমানে রাজ্যের শাসক দলের পক্ষ থেকে বিভিন্ন পৌরসভার চেয়ারম্যান পদে বদন ঘটানো হচ্ছে। কেননা তৃণমূলের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে যে, সমস্ত জায়গায় বিগত লোকসভা নির্বাচনে দল ভালো ফল করতে পারেনি, সেখানে চেয়ারম্যান পদে অপসারণ করা হচ্ছে। তবে অনেকেই আবার সেই চেয়ারম্যান পদ ছাড়তে চাইছেন না। বেশ কিছু কাউন্সিলররা বেঁকে বসেছেন যে, যে চেয়ারম্যান আছেন, তাকে সরানো যাবে না। তবে এর পেছনে যে তৃণমূলের টাকা পয়সার একটা বড় রফা রয়েছে এবং যারা নতুন চেয়ারম্যান হতে চাইছেন, তারা, বিশেষ করে উত্তরবঙ্গের ক্ষেত্রে ৫ কোটি টাকার রেট শুনতে পাওয়া যাচ্ছে, এদিন সেই কথাই ফাঁস করে দিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার।

গোটা রাজ্যজুড়েই এখন শাসকদলের একটা অভ্যন্তরীণ কোন্দল প্রকাশ্যে চলে আসছে। উত্তরবঙ্গ থেকে শুরু করে দক্ষিণবঙ্গ, বিভিন্ন পৌরসভায় চেয়ারম্যান বদলের প্রক্রিয়া শুরু করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। তবে অনেক জায়গাতেই দেখতে পাওয়া যাচ্ছে যে, হয় চেয়ারম্যানরা তাদের পদ থেকে সরতে চাইছেন না, অথবা কাউন্সিলররা চাইছেন না যে, এই চেয়ারম্যান সরে যাক। যার ফলে দলের বিদ্রোহ এবং কোন্দল প্রকাশ্যে চলে আসায় বিরোধীরাও তৃণমূলের বিরুদ্ধে খোঁচা দিতে ছাড়ছে না। আর তার মধ্যেই যাদেরকে চেয়ারম্যান পদ থেকে সরানো হচ্ছে, অনেক জায়গায় কাউন্সিলররা যেভাবে তার বিরোধিতা করছেন, তাতে তাদের কাছে টাকা পৌঁছবে না। আর সেই কারণেই তারা সেই চেয়ারম্যানকে সরাতে চাইছেন না বলেই বুঝিয়ে দিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার। পাশাপাশি যারা নতুন চেয়ারম্যান হবেন, উত্তরবঙ্গের বেশ কিছু জায়গা থেকে তিনি সেই নতুন চেয়ারম্যান যারা হচ্ছেন, তারা কত কোটি টাকার রফা করেছেন, সেই খবরও সামনে আনলেন রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি।

এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার। আর সেখানেই তিনি বলেন, “দেখুন, বর্তমান যে চেয়ারম্যান রয়েছে, তার সঙ্গে কাউন্সিলরদের একটা সেটিং রয়েছে। কত পার্সেন্ট চেয়ারম্যান নেবে, কত পার্সেন্ট কাউন্সিলর নেবে, কত পার্সেন্ট ক্যামাক স্ট্রিটে যাবে। নতুন একজনকে দেওয়া মানে, ক্যামাক স্ট্রিটের কামাই। কিন্তু অন্যদের তো সমস্যা। উত্তরবঙ্গে তো আমি শুনে এলাম, ৫ কোটি করে রেট চলছে এক একজন চেয়ারম্যান হওয়ার জন্য। আর দক্ষিণবঙ্গে কত চলছে, সেটা একটু জেলায় ঘুরলেই কানাঘুষো শুনতে পাবো যে, কত দিলে চেয়ারম্যান হওয়া যাচ্ছে। আর সেটা ক্যামাক স্ট্রিটে জমা পড়ছে। এবার অন্যান্য কাউন্সিলররা ভয় পাচ্ছেন যে, নতুন চেয়ারম্যান এলে আগের সেটিংটার কি হবে বা একে আরও বেশি টাকা দিতে হবে কিনা! স্বাভাবিকভাবেই এরকম গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব চলছে। সময় আসুক, আরও বড় বড় গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব আপনারা দেখতে পাবেন।”