প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
সম্প্রতি খড়্গপুরে তৃণমূল নেত্রীর এক দাদাগিরি প্রকাশ্যে আসে। যেখানে প্রবীন বাম নেতা অনিল দাসকে রাস্তায় ফেলে মারধর করার অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বেবি কোলের বিরুদ্ধে। যে ঘটনা নিয়ে গোটা রাজ্য জুড়ে সমালোচনার ঝড় তৈরি হয়। পুলিশ কেন সেই তৃণমূল নেত্রীকে গ্রেপ্তার করছে না, এই প্রশ্ন তোলার পাশাপাশি তৃণমূল বলেই কি সমস্ত কিছু করা যায়! সেই প্রশ্নও উঠতে শুরু করে। আর এসবের মধ্যেই গোটা বিষয়টি নিয়ে ড্যামেজ কন্ট্রোল করতে গিয়ে তৃণমূলের পক্ষ থেকে সেই বেবি কোলেকে শোকজ করা হয়। আর অবশেষে সেই শোকজের জবাব দিতে গিয়ে পাল্টা যে অভিযোগ সেই প্রবীণ বাম নেতার বিরুদ্ধে তৃণমূল নেত্রী করলেন, তাতে প্রশ্ন উঠছে যে, এতদিন কেন তিনি সেই অভিযোগ সামনে আনেননি? তাহলে কি প্রবীণ বাম নেতা এবার হাইকোর্টের শরণাপন্ন হতেই পাল্টা তার বিরুদ্ধে নির্যাতনের এই অভিযোগ আনলেন তৃণমূল নেত্রী বেবি কোলে?
বলা বাহুল্য, কিছুদিন আগেই খড়্গপুরের প্রকাশ্য রাস্তায় প্রবীণ ভাব নেতা অনিল দাসকে ফেলে মারধর করার অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বেবি কোলের বিরুদ্ধে। পরবর্তীতে গোটা ঘটনায় পুলিশের কাছ থেকে সুবিচার না পেয়ে কলকাতা হাইকোর্টে একটি মামলা করেন বাম নেতা অনিল দাস। খুব দ্রুত এই মামলার শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে। আর তার মধ্যেই সমালোচনার মুখে পড়ে তৃণমূলের পক্ষ থেকে দলীয় নেত্রীর এই ধরনের কাণ্ড-কলাপের জন্য তার কাছে জবাব চাওয়া হয়। আর সেই জবাব দিতে গিয়ে তৃণমূল নেত্রী যে দাবি করে বসলেন, তা রীতিমত হতবাক করে দিচ্ছে সকলকে। দলের পক্ষ থেকে যে শোকজের চিঠি তার কাছে গিয়েছিল, তার জবাবে তিনি ঠিক কি বলেছেন?
জানা গিয়েছে, দলের শোকজের জবাব দিতে গিয়ে তৃণমূল নেত্রী বেবি কোলে পাল্টা অনিল দাসের বিরুদ্ধেই অভিযোগ করেছেন। প্রবীণ বাম নেতাকে মারধর করার পেছনে অন্য কারণ রয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। বেবি কোলের দাবি, প্রথমে অনিল দাসই তাকে নির্যাতন করেছিলেন। তাই তিনি আত্মরক্ষার জন্য তাকে মারধর করেছেন। এমনকি তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পর থেকেই তাকে উত্যক্ত করছিলেন এই প্রবীণ বাম নেতা। পাশাপাশি এই প্রবীণ বাম নেতা অনিল দাস আর্থিক প্রতারণা সহ একাধিক ঘটনার সঙ্গেঅও জড়িত। তাই তার প্রতিবাদ করার কারণেই তাকে নির্যাতন করা হয়েছিল। আর সেই কারণেই তিনি সেই বাম নেতাকে মারধর করেছেন বলেই দলকে জানিয়েছেন বেবি কোলে।
বিরোধীদের দাবি, এখন অজুহাত দিতে হবে, তাই প্রবীণ বাম নেতার বিরুদ্ধে এই সমস্ত অজুহাত সামনে আনছেন তৃণমূল নেত্রী। যদি প্রবীণ বাম নেতার বিরুদ্ধে তার এই সমস্ত অভিযোগই থাকবে, তাহলে তিনি তা আগে করেননি কেন? কেন পুলিশের কাছে অভিযোগ জানাননি? উল্টে অনিলবাবুকে মারধর করার পরে এখন তার এই খেলো যুক্তি কোনোমতেই মানুষ গ্রহণ করবে না। ইতিমধ্যেই আদালতে মামলা হয়েছে। তৃণমূল করে বলেই যা ইচ্ছে তাই করতে পারবে, এমন দিন শেষ। আগামী দিনে আদালত সঠিক রায় দেবে এবং রাজ্য জুড়ে এই বেবি কোলের মতো তৃণমূলের নেত, নেত্রী যারা বিরোধীদের ওপর অত্যাচার করে, প্রতিবাদীদের কণ্ঠস্বর রুদ্ধ করার চেষ্টা করে, তাদের দিন এবার শেষ হয়ে এসেছে বলেই দাবি গেরুয়া শিবিরের।