প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
এই রাজ্যের পুলিশ কতটা নির্লজ্জ, কতটা দলদাসের মত আচরণ করে, আজ তার আরও একটা নমুনা সামনে এলো। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আজ বঙ্গ সফর সেরে চলে যাবেন। সেই মত তাকে বিদায় জানাতে সেখানে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার এসেছিলেন। কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে দেখা গেল যে, ভিভিআইপি জোনের আগেই আটকে দেওয়া হল তার কনভয়। পুলিশের যুক্তি, তাকে যেতে দেওয়া হবে না গাড়ি নিয়ে। স্বাভাবিকভাবেই সুকান্তবাবু গাড়ি থেকে নেমেই সেখানে গেলেন। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, আইন তো সকলের জন্যই সমান। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর জন্য এক আইন, আর রাজ্যের মন্ত্রীর জন্য আলাদা, তা তো হতে পারে না। আর এখানেই তৈরি হয়েছে বিতর্ক। সুকান্ত মজুমদারের কনভায়কে ভিভিআইপি জোনের আগে আটকে দেওয়া হলেও নিশ্চিন্তেই সেই সমস্ত কিছু পেরিয়ে চলে গেল রাজ্যের মন্ত্রী সুজিত বসুর কনভয়।

আর এই ঘটনাতেই প্রশ্ন উঠেছে যে, এই রাজ্যের পুলিশ আর কতটা নীচে নামবে? সামান্য তো আইন, নিয়ম কানুনের তোয়াক্কা তারা করবে! এই ছোট ছোট ব্যাপারেও তারা যদি দলদাসের মত আচরণ করে, তাহলে এই পুলিশ সম্পর্কে কি বার্তা যাবে রাজ্যবাসীর কাছে? প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী গোটা দেশের প্রধানমন্ত্রী। তিনি এসেছেন পশ্চিমবঙ্গে। তাকে তার বিদায়ের লগ্নে বিমানবন্দরে এসেছেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার। সেখানে তার গাড়ি যদি কোনো একটি নির্দিষ্ট জায়গার আগে আটকে দেওয়া হয়, তাহলে তিনি আইন ভাঙবেন না। এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু আইন তো সকলের জন্যই সমান হওয়া উচিত। সেক্ষেত্রে পুলিশ ভিভিআইপি জোষের আগে সুকান্ত মজুমদারের গাড়ি আটকে দিলো, ঠিক আছে। তাহলে সেই একই নিয়ম কেন রাজ্যের মন্ত্রী সুজিত বসুর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হলো না কেন? তিনি ভিপিআইপি জোন ক্রস করে সোজা গাড়ি নিয়ে চলে গেলেন। প্রধানমন্ত্রী এসেছেন, আর একজন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গাড়ি নিয়ে যেতে পারবেন না? কিন্তু রাজ্যের মন্ত্রীকে গাড়ি নিয়ে যাওয়ার অনুমতি এই পুলিশ দেয় কি করে?

বিজেপির ঘনিষ্ঠ মহলের দাবি, সব ক্ষেত্রেই তো দলদাসের মতই আচরণ এই প্রশাসন করছে। এই সামান্য ব্যাপারেও তারা যে কার্যক্রম করলো, তাতে ষ লজ্জা রাখার জায়গা নেই। একজন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে যেভাবে অপমান করা হলো, এর খেসারত এই প্রশাসনকে দিতে হবে। তৃণমূলের দলদাসত্ব করতে গিয়ে তারা আইন কানুনকে সবসময় চ্যালেঞ্জ জানাতে শুরু করেছে। এই রাজ্যের পুলিশ ভাবতে শুরু করেছে যে, পশ্চিমবঙ্গটা বুঝি আলাদা কোনো দেশ, তাদের মাথার ওপর বুঝি আলাদা কোনো রানী বসে আছেন! আর সেই কারণে রাজ্যের মন্ত্রীর ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া হলো কিন্তু সেই একই ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে তার গাড়ি নিয়ে যেতে দেওয়া হলো না। যা শুধু আইনকে চ্যালেঞ্জ জানানো নয়, এটা রীতিমত পক্ষপাত দুষ্ট এবং একজন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সঙ্গে দুর্ব্যবহার বলেই দাবি করছে বিরোধীরা।