প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ক্রমাগত এসআইআরের বিরোধিতা করছেন। এমনকি তিনি বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে কোথাও একটা দাবি করার চেষ্টা করছেন, মানুষকে বোঝাতে শুরু করেছেন যে, এসআইআরের অর্থ হচ্ছে এনআরসি। কিন্তু বাস্তব সত্য হচ্ছে, এসআইআর একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। এটা এর আগেও হয়েছে। কিন্তু এবার কেন তার বিরোধিতা করছেন এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী? তাহলে কি তিনি রোহিঙ্গা এবং অনুপ্রবেশকারীদের ভোটব্যাংক হিসেবে এতদিন ব্যবহার করেছেন? আর এসআইআর হলে তাদের নাম বাদ যাবে জন্যেই এত আতঙ্কিত এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী? ইতিমধ্যেই তা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে বিরোধীরা। শুধু তাই নয়, মুখ্যমন্ত্রী মতুয়া গড়ে গিয়ে তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হবে বলে বোঝানোর চেষ্টা করেছেন‌। তবে মুখ্যমন্ত্রীর এই ভুল বোঝানো নিয়ে কটাক্ষ করে পাল্টা তাকে ধুয়ে দিলেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য।

ইতিমধ্যেই রাজ্যে এসআইআর প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। তবে প্রথম দিন থেকেই এই প্রক্রিয়ার বিরুদ্ধে মন্তব্য করতে দেখা যাচ্ছে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তিনি বিভিন্ন কথা বলছেন। এমনকি কখনও কখনও এটাও বোঝানোর চেষ্টা করছেন যে, নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়ার চক্রান্ত হচ্ছে। তবে প্রথম দিন থেকেই বিজেপি দাবি করেছে, অবৈধ বাংলাদেশি, রোহিঙ্গা, মৃত ভোটার এবং ভুয়ো ভোটারদের নাম এই এসআইআর প্রক্রিয়ায় বাদ যাবে। আর যারা হিন্দু শরণার্থী হিসেবে এপারে এসেছেন, তাদের প্রত্যেকের নাম থাকবে। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী যে সমস্ত কথা বলছেন, তাতে অনেকের মধ্যেই সংশয় তৈরি হয়েছে। তাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই স্ট্যান্ড পয়েন্ট নিয়ে তাকেই প্রশ্নের মুখে ফেলে দিলেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি।

এদিন এসআইআরের বিরুদ্ধে মুখ্যমন্ত্রীর যে মন্তব্য, সেই বিষয়ে শমীকবাবুকে প্রশ্ন করা হয়। আর সেই ব্যাপারে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে রাজ্য বিজেপি সভাপতি বলেন, “১৯৪৭ সালের ১৫ই আগস্টের পর যে প্রতিশ্রুতি ভারতবর্ষের মানুষের সামনে মহাত্মা গান্ধী, সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল, পন্ডিত জহরলাল নেহেরু রেখেছিলেন যে, যারা এখনও ওই দেশে থাকতে বাধ্য হলেন, তারা যদি কোনোদিন নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষার প্রশ্নে ভারতে চলে আসে, তাহলে সরকারের উচিত, তাদের জীবন এবং জীবিকা সুনিশ্চিত করা। সিএএর দাবি মতুয়াদের দীর্ঘদিনের দাবি। বাংলাদেশ থেকে আগত হিন্দু, বৌদ্ধ, জৈন, খ্রিস্টানদের ভারতবর্ষের নাগরিকত্ব দেওয়া ভারত সরকারের কর্তব্য। আর এই মাটির ওপরে আমাদের যে অধিকার আছে, সেই একই অধিকার ওখানকার যে সমস্ত মানুষ চলে এসেছেন ধর্মরক্ষার তাগিদে, তাদেরও আছে। তাহলে মমতা ব্যানার্জি বলুন প্রকাশ্যে দাঁড়িয়ে, তিনি হিন্দু, বৌদ্ধ, উদ্বাস্তুদের বিরুদ্ধে। তিনি অবৈধ বাংলাদেশি, অনুপ্রবেশকারীদের পক্ষে, রোহিঙ্গাদের পক্ষে। এটা প্রকাশ্যে দাঁড়িয়ে বিবৃতি দিন।”