প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
এই রাজ্যে আইনশৃংখলার যে চূড়ান্ত অবনতি হয়েছে এবং তৃণমূল সরকারের আমলে যে তৃণমূলের কর্মীরাই খুন হচ্ছে, সেই রকম একের পর এক চিত্র সামনে আসছে। কিন্তু তারপরেও রাজ্য প্রশাসনের হুঁশ ফিরছে না বলেই অভিযোগ বিরোধীদের। তাদের বক্তব্য, বিরোধীরা তো এই রাজ্যে নিরাপদ নয়, পাশাপাশি তৃণমূলের নেতা কর্মীরাও নিরাপদ নয়। আর এর ফলেই স্পষ্ট, রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থা ক্রমশ অবনতির মুখে। আর বিরোধীদের এই সমস্ত দাবির মাঝেই এবার প্রকাশ্যেই নিজের সংসদীয় এলাকায় একের পর এক দুষ্কৃতীদের দৌরাত্ম্য বেড়ে চলার কারণে পুলিশ আধিকারিককে ধমক দিলেন তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনিতেই সাম্প্রতিককালে তিনি খবরের শিরোনামে রয়েছেন। আর তার মধ্যেই এবার একেবারে পুলিশ আধিকারিককে প্রকাশ্যে ধমক দেওয়ার কারণে আবার চর্চা শুরু হয়েছে কল্যাণবাবুকে নিয়ে।

প্রসঙ্গত, সাম্প্রতিককালে বারবার করে উত্তপ্ত হয়েছে শ্রীরামপুর লোকসভার অন্তর্গত বিভিন্ন এলাকা। কানাইপুরে তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যকেও খুন হতে হয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন দুষ্কৃতীদের দৌরাত্ম্যের মত অপরাধ প্রবণতার ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার একটি রক্তদান শিবিরে অংশ নিয়েছিলেন তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সেখানেই কোন্নগর ফাঁড়ির পুলিশের এক ভারপ্রাপ্ত আধিকারিককে প্রকাশ্যে ধমক দেন তিনি। মূলত কি কারণে এইভাবে এখানে দুষ্কৃতি দৌরাত্ম্য বেড়ে চলেছে, তা নিয়েই মন্তব্য করেছেন এই তৃণমূল সাংসদ বলে খবর।

এদিন এই প্রসঙ্গে তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “গুন্ডাগিরি কোনোমতেই বরদাস্ত করা হবে না। দিন ১০, ১৫ দিন ধরে দেখছি, কোন্নগরে দুষ্কৃতীদের বাড়াবাড়ি হয়েছে। এই বিষয়ে পুলিশ কমিশনারকে বলেছি, গুন্ডাগিরি যেন বন্ধ হয়। সিপিএম আর বিজেপির সেটিংয়ে এই সমস্ত মস্তানগুলো এখানে মাথা তুলছে। কোনো ধরনের গুন্ডাবাজ এখানে বরদাস্ত করা হবে না।” আর এখানেই বিরোধীরা বলছেন যে, কোনো কিছু হলেই তো সমস্ত দোষ সিপিএম এবং বিজেপির ঘাড়ে চাপাতেই ব্যস্ত থাকেন তৃণমূলের নেতারা। তবে এই রাজ্যের পুলিশ মন্ত্রীর নাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই রাজ্যে সমস্ত পুলিশ এখন তৃণমূলের দ্বারা পরিচালিত হয়, এটা সকলেই জানে। তাই কল্যাণবাবু নিজের সংসদীয় এলাকায় যেভাবে দুষ্কৃতীদের দৌরাত্ম্য বেড়ে চলেছে, তা নিয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে যেভাবে পুলিশ আধিকারিক এই ধমক দিয়ে বসলেন, তাতে কিন্তু তার এই কর্মকান্ডে প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে যেমন প্রশ্ন উঠে গেল, ঠিক তেমনই চাপে পড়ে গেলেন রাজ্যের পুলিশ মন্ত্রী বলেই মত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের।