প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- গতকালই কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী দেশবাসীর জন্য একটি বড় ঘোষণা করেছেন। যেখানে স্বাস্থ্য বিমা, জীবন বিমার ক্ষেত্রে জিএসটি প্রত্যাহার করার পাশাপাশি বেশ কিছু ক্ষেত্রে জিএসটি কমিয়ে আনা হয়েছে। যার ফলে অনেক নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম কমতে চলেছে। স্বাভাবিকভাবেই দিল্লির লালকেল্লা থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী চলতি বছরেই পুজোর আগেই যে সুখবর দেওয়ার ঘোষণা করেছিলেন, তা বাস্তবের রূপ নিলো বলেই মনে করা হচ্ছে। আর দেশের মানুষের স্বার্থে অনেক নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম এই জিএসটি প্রত্যাহার মধ্যে দিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার কমিয়ে দেওয়ার ফলে রীতিমত খুশি গোটা দেশবাসী। আর এবার সেই খুশির বন্যা বইতেই বিধানসভার বাইরে বিজেপি বিধায়কদের নিয়ে সাত সকালেই প্রধানমন্ত্রীর নামে স্লোগান দিয়ে তাকে ধন্যবাদ জানালেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
প্রসঙ্গত, গতকালই জিএসটি নিয়ে বৈঠক হয়। আর সেখানেই দেশবাসীর মধ্যে একটা আশা তৈরি হয়েছিল যে, বড় কোনো ঘোষণা হতে পারে। আর রাতে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামের সাংবাদিক বৈঠকের পরেই রীতিমত উচ্ছ্বাসে ভাসতে শুরু করে গোটা দেশ। প্রচুর নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের ক্ষেত্রে জিএসটি কমিয়ে দেওয়ার ঘোষণা করা হয়। যার ফলে পুজোর আগে দেশবাসী যে বড় স্বস্তি পেতে চলেছে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। আর সেই কারণেই আজ পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভার বাইরে বিজেপি বিধায়কদের নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে ধন্যবাদ জানালেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।
বিশেষজ্ঞদের মতে, কেন্দ্রীয় সরকার যে গঠনমূলক সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তা পশ্চিমবঙ্গের মানুষকেও তো জানাতে হবে। কারণ পশ্চিমবঙ্গে যখন চাকরি দুর্নীতি থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষের মধ্যে বেকারত্ব কাজ করছে, তখন দেশের সরকার কি কাজ করছে, কিভাবে সাধারণ মানুষকে স্বস্তি দিচ্ছে, তা জানানোর জন্য একেবারে সাত সকালে বিধানসভার বাইরে শুভেন্দু অধিকারীর বিজেপি বিধায়কদের নিয়ে এই পদক্ষেপ। এক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় সরকার এবং প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে জিএসটি কমিয়ে দেওয়ার বিষয়টিকে সামনে এনে দেশের মানুষের জন্য দেশের সরকার কতটা জনদরদী পদক্ষেপ নিয়েছে, তা আরও বেশি করে তুলে ধরার চেষ্টা করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। স্বাভাবিকভাবেই ২৬ এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে কেন্দ্রীয় সরকারের এই জনদরদী ভূমিকাকে কাজে লাগিয়ে বিজেপি যে পশ্চিমবঙ্গের মানুষের কাছে আরও গ্রহণযোগ্য হয়ে উঠতে পারে এবং সেই জন্যেই যে শুভেন্দু অধিকারী সহ বিজেপি বিধায়কদের এই পদক্ষেপ, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।