প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
২০১৬ সালের প্যানেল সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে বাতিল হয়েছে। যার ফলে পরবর্তীতে এসএসসি অযোগ্যদের তালিকা প্রকাশ করতে বাধ্য হয়েছে। তবে আদালতের নির্দেশ থাকার জন্য অনেক যোগ্য ব্যক্তিকেও এসএসসি পরীক্ষায় আবার নতুন করে বসতে হয়েছিল। যার ফলে তাদের অনেক অভাব অভিযোগ রয়েছে যে, আবার নতুন করে পরীক্ষায় বসে কি তারা সেই সাফল্য অর্জন করতে পারবেন? এমনকি এখনও পর্যন্ত যে সমস্ত যোগ্য চাকরিহারা ব্যক্তিরা রয়েছেন, তারা এসএসসির এবারের পরীক্ষার স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন। এমনকি নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়েও তাদের অনেক আশঙ্কা রয়েছে। আর তার মাঝেই এবার পুজোর আগেই আরও বড় আন্দোলন কর্মসূচিতে যাচ্ছেন যোগ্য চাকরিহারা ব্যক্তিরা।

ইতিমধ্যেই রাজ্যজুড়ে পুজোর একটা আমেজ তৈরি হয়েছে। তবে এই রাজ্যের বুকে শিক্ষাব্যবস্থায় যে সংকট চলছে, যেভাবে যারা যোগ্য, তারা রাজ্যের অযোগ্যতার কারণে চাকরি হারিয়েছেন এবং নতুন করে তাদের পরীক্ষায় বসতে হয়েছে, তাতে সেই সমস্ত পরিবারের মধ্যে অত্যন্ত চিন্তা রয়েছে। তারা কোনোমতেই শান্তিপূর্ণভাবে জীবন যাপন করতে পারছেন না। প্রতিমুহূর্তে তাদের মনে একটা আশঙ্কা চলছে। আর সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে এবার মহালয়ার পরেই অর্থাৎ আগামী সপ্তাহেই ফের এসএসসি দপ্তর অভিযানের ডাক দিলেন যোগ্য চাকরিহারা ব্যক্তিরা। যেখানে যারা চাকরি প্রার্থী তাদের সকলকে সামিল হওয়ার আবেদন জানালেন তারা।

এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন যোগ্য চাকরিহারা ব্যক্তি সুমন বিশ্বাস। যেখানে আগামী ২৩ সেপ্টেম্বর করুণাময়ী মোড়ে সকাল ১১ টায় সকলকে জমায়েতের আহ্বান জানান তিনি। পাশাপাশি শান্তিপূর্ণভাবে এসএসসি দপ্তর অভিযানের ডাক দেওয়া হয়েছে বলেও ঘোষণা করেন এই যোগ্য চাকরিহারা ব্যক্তি। কিন্তু এই কর্মসূচিতে কারা কারা থাকবে? এক্ষেত্রে সকলকেই আয়োজকদের তরফ থেকে এই কর্মসূচিতে থাকার জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে। মূলত, যে শূন্যপদ রয়েছে, সেক্ষেত্রে স্বচ্ছ নিয়োগের দাবি সহ ইতিমধ্যেই যে সমস্ত যোগ্য চাকরিহারা ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে, তাদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবি নিয়েই তারা এই এসএসসি অভিযান করতে চলেছেন। স্বাভাবিকভাবেই মহালয়ার পরেই অর্থাৎ পুজোর একদম আগে যোগ্য চাকরিহারাদের এই কর্মসূচি রীতিমত সরকারকে চাপে ফেলে দেবে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।