প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
তৃণমূল কংগ্রেস প্রথমে এসআইআরের বিরোধিতা করেছিল। পরবর্তীতে এসআইআর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। তারপর তারা ভেবেছিল যে, তাদের অনুগত ২-৪ জন যে বিএলওরা আছে, তারা এমন কিছু কৌশল রপ্ত করবে, যার ফলে নির্বাচন কমিশনকে ফাঁকি দিয়ে তারা ভুয়ো ব্যক্তিদের নাম এসআইআরে রেখে দেবে। কিন্তু বিষয়টা যে অতটা সহজ নয়, তা যত দিন যাচ্ছে, ততই স্পষ্ট হতে শুরু করেছে। আর এই পরিস্থিতিতে এবার নির্বাচন কমিশন এই ফাঁকিবাজির রাস্তাটা ধরে নিয়ে যে কড়া কড়া পদক্ষেপগুলো নিচ্ছে, তাতে মিথ্যা তথ্য দিলেই যে সবাই ধরা পড়ে যাবে, সেই ব্যাপারে নিশ্চয়তা সামনে আসছে। আর সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তার দল অবৈধ ভোটারদের রাখার চেষ্টা করলেও কিছু বিএলও তাদের অনুগত হলেও, শেষ পর্যন্ত যে কোনো কৌশল কাজে দেবে না, তা চার সপ্তাহের সময়সীমার কথা উল্লেখ করে সমস্ত খেলা যে শেষ হয়ে যাবে, তা স্পষ্ট করে দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

ইতিমধ্যেই গোটা রাজ্য জুড়ে চর্চার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে, এসআইআর প্রক্রিয়া। বিভিন্ন সময় নির্বাচন কমিশন নতুন নতুন নির্দেশিকা জারি করছে। তবে তাদের এই নির্দেশিকা জারি যে করতেই হবে, এই ফাঁকিবাজিদের কৌশল বন্ধ করার জন্য, তা এখন বুঝতে পেরেছে কমিশন। সেই কারণে প্রথম দিকে তারা লাটাই ছেড়ে রাখলেও, এখন ধীরে ধীরে সেই লাটাইয়ের সুতো গোটানোর কাজটা শুরু করেছে। নির্বাচন কমিশন খুব ভালো মতই উপলব্ধি করেছে যে, পশ্চিমবঙ্গে ভুয়া ভোটারদের রাখার জন্য কিছু বিএলও দলদাসের ভূমিকা পালন করছে। আর যাদেরকে পরামর্শ দিচ্ছে আইপ্যাক নামক কোম্পানি। তাই এসআইআরের যে উদ্দেশ্য, সেই উদ্দেশ্য যদি এইভাবে চলে, তাহলে সফল হবে না। ভুয়ো ভোটারদের নাম থেকে যাবে। আর সেই কারণে কমিশনের পক্ষ থেকে একের পর এক কড়া সিদ্ধান্ত সামনে আসতেই তৃণমূলের যারা দলদাস বিএলও রয়েছে, যারা ভুয়ো ভোটারদের রেখে দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন তাদের অস্বস্তি বাড়ছে। আর সেই ব্যাপারেই বড় মন্তব্য করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।

এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আর সেখানেই তিনি বলেন, “তৃণমূলপন্থী বিএলওদের খুব যন্ত্রণা হচ্ছে। ওরা বলেছিল, মাননীয়া ম্যাডাম, আপনার কোনো চিন্তা নেই, আমরা সব ঠিক করে দেব। নির্বাচন কমিশন তো বহিরাগত। আমরা আপনার বাড়ির ছেলে। আমরা সব ঠিক করে দেবো। এখন ঠিক করতে পারছেন না। নির্বাচন কমিশনও প্রথমে লাটইয়ের সুতো ছেড়ে দিয়েছিল। এখন গোটাচ্ছে আসতে আসতে। যত দিন যাবে, যন্ত্রণা বাড়বে। ওয়েট অ্যান্ড সি। আগামী চার সপ্তাহ হরিবোল।”