প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
এই রাজ্যে সরকারের অন্যায়ের বিরুদ্ধে যারাই আন্দোলন করবে, যারাই প্রতিবাদ করবে, তাদেরকেই কি প্রতিমুহূর্তে পুলিশ দিয়ে হেনস্থা করা হবে? বিভিন্ন ক্ষেত্রে এইরকম প্রবণতা দেখা গিয়েছে। আর এবার আরজিকর কান্ডের সময় যে সমস্ত প্রতিবাদী মুখ সামনের সারিতে থেকে লড়াই করেছিলেন, পুরনো মামলাকে সামনে এনে এবার কি তাদের কণ্ঠরোধ করার প্রক্রিয়া শুরু করে দিলো এই রাজ্যের প্রশাসন? শুরু হয়ে গেল আরজিকর কান্ডে প্রতিবাদ করা চিকিৎসকদের ভয় দেখানোর প্রক্রিয়া? ইতিমধ্যেই পুলিশের পক্ষ থেকে আসফাকুল্লা নাইয়া দেবাশিস হালদার এবং অর্ণব মুখোপাধ্যায় নামে তিন চিকিৎসককে তলব করা হয়েছে।

কি ঘটনা ঘটেছে? ইতিমধ্যেই হেয়ার স্ট্রিট থানার পক্ষ থেকে আজ সোমবার চিকিৎসক আসফাকুল্লা নাইয়াকে তলব করা হয়েছে। পাশাপাশি আগামী মঙ্গলবার এবং বৃহস্পতিবার তলব করা হয়েছে আরও এক চিকিৎসক দেবাশিস হালদারকে। মূলত, পুরনো একাধিক মামলার পরিপ্রেক্ষিতেই তাদের নোটিশ পাঠিয়েছে পুলিশ। যেখানে হাজিরা না দিলে তাদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ হতে পারে বলেও খবর পাওয়া যাচ্ছে। অর্থাৎ ভয় দেখাতেই যে এই সমস্ত জুনিয়র চিকিৎসকদের নোটিশ পাঠিয়ে কণ্ঠরোধের চেষ্টা চলছে, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত বিরোধীরা।

প্রতিবাদী এই সমস্ত জুনিয়র চিকিৎসকদের দাবি, যেদিন থেকেই তারা আন্দোলন শুরু করেছেন অভয়ার মৃত্যুর বিচারের দাবিতে, সেদিন থেকেই তাদের ভয় দেখানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এখন পুলিশ দিয়ে পুরনো মামলাকে সামনে এনে তাদের ডেকে পাঠানো হচ্ছে। তবে এইভাবে বারবার ডেকে পাঠিয়ে লাভের লাভ কিছু হবে না। তারা যে প্রতিবাদ করছিলেন, সেই প্রতিবাদ চলবে। আর একটাও যাতে অভয়ার মত কোনো ঘটনা না ঘটে, তার জন্য তাদের আন্দোলন জারি থাকবে। তাই পুলিশ নোটিশ পাঠিয়ে কণ্ঠরোধ করতে পারবে না বলেই দাবি প্রতিবাদী চিকিৎসকদের। তবে পুলিশের নোটিশে সাড়া দিয়ে এই সমস্ত চিকিৎসকরা থানায় হাজিরা দেন কিনা এবং তারপর তাদের জেরা করার পর কি পদক্ষেপ নেয় পুলিশ, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।