প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
পশ্চিমবঙ্গের মাটিতে সম্প্রতি যে ঘটনা ঘটে গেল, তা কার্যত নজিরবিহীন। যেখানে উত্তরবঙ্গের ত্রাণকার্যে সামিল হতে গিয়ে রক্তাক্ত হতে হলো বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মুকে। আক্রান্ত হলেন বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ। দুজনেই হাসপাতালে ভর্তি। আর তারপরেই সব থেকে বেশি যে প্রশ্নটা উঠছে, তা হলো, এত বড় আক্রমণ নেমে আসার পরেও কেন চুপ করে বসে রয়েছে বিজেপি? আর কবে তারা প্রতিরোধের রাস্তা বেছে নেবে? এভাবেই যদি তারা চুপ থাকে, তাহলে একের পর এক আক্রমণ হতে থাকবে, কিন্তু তাদের নিষ্ক্রিয়তা নিয়ে তো সাধারন মানুষের মধ্যেই প্রশ্ন উঠবে।
উত্তরবঙ্গের ত্রাণকার্যে শামিল হতে গিয়ে খগেন মুর্মু এবং শঙ্কর ঘোষ যেভাবে আক্রান্ত হয়েছে, তারপর অনেকের মধ্যেই অনেক প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। সকলেই বলছেন, এর আগেও এই রাজ্যের বুকে বিজেপির অনেক সর্বভারতীয় নেতারা পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন। কিন্তু তারপরেও অনেক কমিটি এসেছে। কিন্তু লাভের লাভ কিছু হয়নি। এই রাজ্যে একের পর এক চুরি, দুর্নীতির তথ্য সামনে আসছে। কিন্তু তারপরেও কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার সেই রকম কোনো পদক্ষেপ দেখতে পাওয়া যাচ্ছে না। আর এবার বিজেপির এক সাংসদ রক্তাক্ত হওয়ার পরেও কি চুপ করে বসে থাকবে গেরুয়া শিবির? কেন এই রাজ্যের বিজেপি নেতৃত্বরা সেই ভাবে পদক্ষেপ নিচ্ছে না? কেন কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে বলে এই রাজ্যের শাসক দলের বিরুদ্ধে কড়া অ্যাকশন গ্রহণ করার মত ক্ষমতা দেখাতে পারছে না ভারতীয় জনতা পার্টি? তারা যদি এই কাজ করতে না পারে, তারা যদি প্রতিরোধের রাস্তা বেছে নিতে না পারে, তাহলে তাদের দলের যে সমস্ত কর্মীরা রয়েছে, তারা কি আদৌ ২৬ এ লড়াইটা দিতে পারবে? শুধুমাত্র মুখেই বিজেপি বলছে যে, ধৈর্য ধরে রাখার দিন শেষ। কিন্তু কাজে কবে তারা তৃণমূলকে বা যারা তাদের ওপর আক্রমণ করছে, তাদের নেতাদের রক্তাক্ত করছে, তাদের পাল্টা জবাব দেওয়ার রাস্তা বেছে নেবে! তার দিকে তাকিয়ে রয়েছে গোটা রাজ্যবাসী। আর সেই বিষয়েই এবার প্রতিক্রিয়া দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য।
এদিন এই ব্যাপারে বিজেপির রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্যকে প্রশ্ন করেন সাংবাদিকরা। আর সেই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে তিনি বলেন, “যে ঘটনা ঘটেছে, সেই এলাকায় আমরা ত্রাণের কাজে গিয়েছিলাম। আমরা কোনো জমায়েত সেখানে করিনি। কালকে যদি আমরা চাইতাম, তাহলে এখানে যাদের নাম আমরা পড়ছি, তারা কেউ জীবিত থাকত না। ভেতরে সমস্ত আদিবাসীরা তীর, ধনুক নিয়ে তৈরি। বলেছেন, দরকার হলে সাঁতরে আমরা ওপারে যাচ্ছি, আমরা ছাড়বো না। আমরা মানুষের এই চরম দুর্দিনে কোনো প্রাণহানি চাই না, কোনো রক্তপাত চাই না। প্রতিরোধ বিজেপি করছে না, এটা ভুল। কারণ সংবাদমাধ্যমে বিজেপির বহু প্রতিরোধের ঘটনা আসছে না। এটা মনে করার কারণ নেই যে, সারা রাজ্য জুড়ে বিজেপির সাংসদ, বিধায়করা মসৃণ ভাবে ঘুরছেন। প্রতিরোধ করেই বিজেপি গ্রামে ঢুকছে। কিন্তু সর্বত্র তো সেটা সম্ভব নয়। আপনি ত্রাণ দিতে গেছেন। আর সেখানে কিছু মৌলবাদীরা জমায়েত হয়ে আপনার ওপর হামলা করবে, এটা কি প্রত্যাশিত ছিল?”