প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
এই রাজ্যে সরকারিভাবে নির্বাচনের ঘোষণা না হলেও, রাজনৈতিক দলগুলির যে তৎপররতা দেখা যাচ্ছে, তাতেই বোঝাই যাচ্ছে যে, দরজায় কড়া নাড়ছে নির্বাচন। ইতিমধ্যেই ভোটার তালিকায় স্বচ্ছতার লক্ষ্যে রাজ্য শুরু হয়ে গিয়েছে এসআইআর। যাকে কেন্দ্র করে শাসক বনাম বিরোধীদের মধ্যে রাজনৈতিক তরজা চলছে। ২০২৬ এর নির্বাচনে পরিবর্তনের লক্ষ্যে জেলায় জেলায় পৌঁছে যাচ্ছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। মাঝে কিছুদিন সর্দার বল্লভ ভাই প্যাটেলের জন্মবার্ষিকীকে সামনে রেখে বিজেপি নেতারা বিভিন্ন জায়গায় অরাজনৈতিক কর্মসূচিতে সামিল হয়েছিলেন। জেলায় জেলায় একতা যাত্রায় পা মিলিয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। যার ফলে পরিবর্তন সংকল্প যাত্রা বা সেই অর্থে রাজনৈতিক কর্মসূচি সাময়িক স্থগিত ছিল। তবে তৃণমূলকে চাপে রাখার মত একের পর এক পরিকল্পনা সাজিয়ে যাচ্ছেন তিনি। আর আজ থেকে ফের শুরু হলো সেই পরিবর্তন সংকল্প যাত্রা। যেখানে কাটোয়ায় সেই রাজনৈতিক সভা থেকেই ফের আরও একবার তৃণমূল হটাও স্লোগান তুললেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

এই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী প্রতিনিয়ত কোনো না কোনো কর্মসূচিতে থাকছেন। রাজ্যে বিরোধী দলনেতা বলে যে কেউ আছে, তা ২০২১ এর পর থেকে উপলব্ধি করতে পারছেন সাধারণ মানুষ। বুঝতে পারছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও যে, বিরোধিতা কাকে বলে। যার ফলে ঘরে বাইরে তৃণমূল কংগ্রেসও যথেষ্ট অস্বস্তিতে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। রাজ্যের বুকে একদিনও সময় নষ্ট না করে পরিবর্তনের লক্ষ্যে বিভিন্ন কর্মসূচিতে শামিল হচ্ছেন তিনি। কয়েকদিন যাবৎ সর্দার বল্লভ ভাই প্যাটেলের জন্মবার্ষিকীকে সামনে রেখে বিভিন্ন জায়গায় একতা যাত্রায় শামিল হয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। আর এবার ফের নিজের রাজনৈতিক কর্মসূচি শুরু করে দিলেন তিনি।

এদিন বর্ধমানের কাটোয়ার সাংগঠনিক জেলার অন্তর্গত মেমারিতে বিজেপির পক্ষ থেকে পরিবর্তন সংকল্প সভার আয়োজন করা হয়। আর সেই সভাতেই উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। যেখানে একেবারে চাঁচাছোলা ভাষায় এসআইআর থেকে শুরু করে রাজ্যের অনুন্নয়ন, দুর্নীতি নিয়ে তৃণমূল সরকারকে আক্রমণ করেন তিনি। শুধু তাই নয়, বক্তব্যের একদম শেষে বিজেপির সমস্ত নেতা কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে “তৃণমূল হটাও” স্লোগান তুলতেও দেখা যায় রাজ্যের বিরোধী দলনেতাকে। অর্থাৎ নির্বাচনের দামামা এখনও না বাজলেও শুভেন্দু অধিকারীর তৃণমূলের বিরুদ্ধে এই অলআউট আক্রমণ এবং রাজনৈতিক সভা, নির্বাচনী যুদ্ধের সময় যে আসন্ন, তা বুঝিয়ে দিচ্ছে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।