প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
২৬ এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে কোথায় তৃণমূলের সংঘবদ্ধ রূপ দেখতে পাওয়া যাবে, কিন্তু তার বদলে বিচ্ছিন্ন তৃণমূল দেখতে পাওয়া যাচ্ছে রাজ্যজুড়ে। অন্তত একের পর এক ঘটনা পরম্পরার পরিপ্রেক্ষিতে তেমনটাই অভিযোগ করছে বিরোধীরা। রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় তৃণমূল কর্মীদের মারধর এবং খুন হওয়ার মত ঘটনা সামনে আসছে। স্বাভাবিকভাবেই শাসকের ক্ষমতায় যেখানে তৃণমূল রয়েছে, সেখানে বিরোধীরা তো সামান্য আন্দোলনটুকু করতে ভয় পায়, তাহলে এর পেছনে কি বিরোধীদের ষড়যন্ত্র রয়েছে, নাকি তৃণমূলের গোষ্ঠীগত গন্ডগোল! তা নিয়ে দলের মধ্যেই তৈরি হয়েছে প্রশ্ন। আর সেসবের মধ্যেই এবার ফের প্রাণ হারালেন আরও এক তৃণমূল কর্মী।
বলা বাহুল্য, বর্তমানে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় তৃণমূল কর্মীদের প্রাণ হারানোর মত ঘটনা ঘটছে। যা নিঃসন্দেহে তৃণমূল নেতৃত্বকে যথেষ্ট চিন্তায় রাখছে। আর তার মধ্যেই এবার কোন্নগরে আরও এক তৃণমূল কর্মীকে কুপিয়ে খুন করার অভিযোগ উঠেছে। জানা গিয়েছে, গতকাল তৃণমূলের কানাইপুরের পঞ্চায়েত সদস্য পিন্টু চক্রবর্তীকে তার অফিসের সামনেই ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপ দেওয়া হয়েছে। আর তারপর তাকে এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি করা হলে রাতেই তার মৃত্যু হয়। আর একেবারে রাজ্যের মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী বাড়ির কাছেই তৃণমূলের এই কর্মীর ওপর এই ধরনের আক্রমণ ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে শাসক দলের অন্দরমহলে।
ইতিমধ্যেই গোটা বিষয়ে তৃণমূলকে কটাক্ষ করতে শুরু করেছে বিজেপির ঘনিষ্ঠ মহল। তাদের দাবি, তৃণমূলের কাছে এখন সবথেকে বড় চ্যালেঞ্জ তৃণমূল কংগ্রেস। সব জায়গায় ভাগাভাগি নিয়ে অশান্তি শুরু হয়েছে। যার করুণ পরিণতি শেষ পর্যন্ত প্রাণহানিতে গিয়ে দাঁড়াচ্ছে। এই রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করতে প্রশাসনিক প্রধান হিসেবে যেমন ব্যর্থ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, ঠিক তেমনই দলের কোন্দল সামাল দিতেও তিনি ব্যর্থ। আগামী দিনে রাজ্যবাসীকে যদি সুশাসন পেতে হয়, তাহলে তৃণমূলকে ক্ষমতা থেকে বিদায় দিতে হবে। আর তৃণমূলের ক্ষমতা থেকে চলে যাওয়া তৃণমূলের প্রকৃত এবং সৎ কর্মীদের ক্ষেত্রেও অত্যন্ত প্রয়োজন বলেই দাবি করছে পদ্ম শিবিরের ঘনিষ্ঠ মহল।