প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
এই রাজ্যে যে মহিলাদের নিরাপত্তা নেই, তা একের পর এক ঘটনার মধ্যে দিয়েই স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে। আরজিকরের পর কেউ স্বপ্নেও কল্পনা করতে পারেনি যে, সরকারি কর্মক্ষেত্রের মধ্যে কোনো মহিলাকে নির্যাতিত হতে হবে। কিন্তু সম্প্রতি পাঁশকুড়া হাসপাতালে এক মহিলা স্বাস্থ্যকর্মীকে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে ঠিকাদারি সংস্থার ফেসিলিটি ম্যানেজারের বিরুদ্ধে। প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, এই রাজ্যের নারী নিরাপত্তা নিয়ে। গতকালই সেই পাঁশকুড়ায় পৌঁছে গিয়েছিল রাজ্য মহিলা কমিশনের একটি প্রতিনিধি দল। তবে রাজ্যের সেই প্রতিনিধি দলের ওপর যে কারওর ভরসা নেই, তা ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছেন সমালোচকরা। আর তার মধ্যেই আজ সেই পাঁশকুড়ায় যাচ্ছে জাতীয় মহিলা কমিশন।

ইতিমধ্যেই পাঁশকুড়ায় মহিলা স্বাস্থ্যকর্মীকে সরকারি হাসপাতালে মধ্যে নির্যাতনের ঘটনায় পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে জাতীয় মহিলা কমিশন। যেখানে তাদের পক্ষ থেকে মামলা রুজু করা হয়েছে বলে খবর। পাশাপাশি এই খবরও পাওয়া যাচ্ছিল যে, তারা খুব দ্রুত সেই পাঁশকুড়া হাসপাতালে যে ঘটনা ঘটেছে, তার পরিপ্রেক্ষিতে সেখানে পৌঁছে যাবেন। এলাকা পরিদর্শন করবেন। আর সেই মতই আজ সেই পাঁশকুড়াতে আসছেন জাতীয় মহিলা কমিশনের একটি প্রতিনিধি দল। যেখানে নির্যাতিতার সঙ্গে কথা বলবেন তারা।

বিশেষজ্ঞদের মতে, এর আগেও এই রাজ্যের বুকে অনেক অন্যায় অবিচারের ঘটনার সামনে আসার পর একাধিক কেন্দ্রীয় টিম এসেছে। কখনও মানবাধিকার কমিশন, আবার কখনও জাতীয় মহিলা কমিশনকে এই রাজ্যে বারবার আসতে দেখা গিয়েছে। কিন্তু তারা এসে রিপোর্ট তৈরি করলেও শেষ পর্যন্ত যারা এই সমস্ত অন্যায় কাজের সঙ্গে যুক্ত, তাদের বিরুদ্ধে তেমন ব্যবস্থা হয় না। এই অভিযোগ অনেকের মধ্যেই রয়েছে। তবে আরজিকরের পর পাঁশকুড়ায় সরকারি হাসপাতালের মধ্যে আবার যেভাবে একজন মহিলা স্বাস্থ্য কর্মীকে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে, তাতে রাজ্যবাসী আর নিজেদের ক্ষোভ চেপে রাখতে পারছেন না। তাদের একটাই দাবি, যে বা যারাই তদন্ত করুন, যে বা যারাই রিপোর্ট তৈরি করুন, অন্তত মহিলাদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত হোক এই রাজ্যে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে এমন দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নেওয়া হোক, যাতে পরবর্তীতে কেউ আর এই ধরনের অন্যায় কাজ করতে দুবার ভাবে। তাই জাতীয় মহিলা কমিশনের প্রতিনিধি দল আজ পাশকুড়ায় এসে কি পদক্ষেপ নেয়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।