প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
পশ্চিমবঙ্গে বর্তমানে তৃণমূলের দলদাসের মত কাজ করছে পুলিশ প্রশাসন। বিভিন্ন ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে তা কার্যত রাজ্যের মানুষের কাছে স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। এই রাজ্যে অনুব্রত মণ্ডলের মত তৃণমূল নেতারা পুলিশের মা, বউ তুলে গালিগালাজ দেওয়ার পরেও পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ নিতে পারে না। কিন্তু বিরোধীরা যদি গণতান্ত্রিক পরিসরে কোথাও কোনো প্রতিবাদ করে, তাহলেই তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যে মামলা দেয় এই দলদাস পুলিশ বলেই অভিযোগ বিরোধীদের। আর সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে এবার রাজ্যের একটি অংশের পুলিশ কর্মীরা, যাদের বয়স ৪৫ বছর অথবা তার কম, তাদের প্রকাশ্য সভা থেকে সাবধান বানী দিলেন বিজেপির সজল ঘোষ। কিন্তু গোটা রাজ্যের পুলিশের বিরুদ্ধেই তো তাদের অভিযোগ! তাহলে এঈ নির্দিষ্ট বয়সের পুলিশ কর্মীদের উদ্দেশ্যেই কেন এই ধরনের হুঁশিয়ারি দিলেন এই বিজেপি নেতা?

জানা গিয়েছে, এদিন ব্যারাকপুরে একটি প্রতিবাদ সভায় উপস্থিত হন কলকাতা পৌরসভার বিজেপি কাউন্সিলর তথা দাপুটে বিজেপি নেতা সজল ঘোষ। আর সেখানেই তৃণমূল সরকারের ভবিষ্যৎ যে ২০২৬ এর পরে সংকটের মুখে চলে যাবে, তা স্পষ্ট করে দেন তিনি। পাশাপাশি পুলিশ কর্মীদের হুশিয়ারি দিতেও দেখা যায় এই বিজেপি নেতাকে। সজল ঘোষ বলেন, “২৬ এর পরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামের আগে প্রাক্তন বসে যাবে। আপনাদের বাঁচাতে আসবে না। তখন কৌস্তুভ বাগচীরা এই এলাকার দায়িত্বে থাকবেন। অর্জুন সিংহরা এই এলাকার মন্ত্রী থাকবেন।”

আর এরপরেই আরও একধাপ এগিয়ে পুলিশকে কড়া ভাষায় হুঁশিয়ারি দেন এই বিজেপি নেতা। যে সমস্ত পুলিশ কর্মীদের অবসরের বয়স হয়ে গিয়েছে, তাদের উদ্দেশ্যে তেমন কিছু না বললেও, যাদের এখনও বেশ কয়েক বছর চাকরি রয়েছে, ঘুরিয়ে তাদের উদ্দেশ্যে সাবধান বাণী দিতে দেখা যায় সজল ঘোষকে। তিনি বলেন, “পুলিশ কর্মীদের বলছি, যাদের বয়স ৫৮-৫৯, তারা যা খুশি করুন। কিন্তু যাদের বয়স ৪৫ বা তার কম, তারা সাবধান হয়ে যান।” একাংশ বলছেন, রাজ্য জুড়ে যেভাবে পুলিশ তৃণমূলের দলদাস হয়ে কাজ করছে, ২০২৬-এ রাজ্যে পরিবর্তন হবে, এটাতে কার্যত নিশ্চিত বিজেপি। আর সেই নিশ্চয়তা নিয়েই সজল ঘোষ কম বয়সী পুলিশ কর্মীরা, যাদের এই রাজ্যে পরিবর্তন হলে বিজেপি সরকারের অধীনে কাজ করতে হবে, তাদের এখন থেকেই সমঝে যাওয়ার বার্তা দিলেন। বুঝিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলেন যে, তৃণমূলের দলদাস হয়ে এখনও যদি পুলিশ কর্মীরা কাজ করার চেষ্টা করেন, তাহলে ২০২৬ এর পর পরিস্থিতি অন্যরকম হতে পারে। আর সজল ঘোষের এই ইঙ্গিতকে কেন্দ্র করেই রীতিমত সরগরম হয়ে উঠেছে রাজ্য রাজনীতি।