প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- নিয়োগ দুর্নীতিতে নাম জড়িয়ে পড়ার কারণে রাজ্যের শাসক দলের একের পর এক বিধায়ক থেকে শুরু করে প্রাক্তন মন্ত্রীরা জেলের মুখ দেখেছেন। অনেকে এখনও জেলের মধ্যে রয়েছেন। আর তার মধ্যেই সেই দুর্নীতিতে নাম জড়িয়ে পড়ে রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহার। ইতিমধ্যেই কিছুদিন আগে আদালতে গিয়ে আত্মসমর্পণ করেছিলেন তিনি। আর তারপরেই তার জামিনের আবেদন মঞ্জুর করা হয়। তবে যেদিন তিনি জামিনের আবেদন করেন, সেদিনই তার বিরোধিতা করে তাকে হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি। আর চন্দ্রনাথ সিনহার জামিনের মামলার যে শুনানি, তা আজ হওয়ার কথা ছিল। সকাল থেকেই কৌতুহলী হয়ে উঠেছিল গোটা বাংলার সাধারণ মানুষ। সকলেই প্রত্যাশার প্রহর গুনছিলেন যে, কখন তারা একটা বড় খবর পাবেন! যারা এই দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত, তাদের মধ্যে আরও একজনের শাস্তির খবর কখন তারা শুনতে পাবেন! তবে এর মধ্যেই সামনে চলে এলো আরও একটি বড় খবর।

বলা বাহুল্য, আজই রাজ্য মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহার জামিনের মামলার শুনানি হওয়ার কথা ছিল। বিরোধীরাও আশাবাদী ছিলেন যে, যে দুর্নীতি হয়েছে, তাতে তিনি জেলে যাবেন, আর এটা শুধুমাত্র সময়ের অপেক্ষা। যেভাবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা তার জামিনের বিরোধিতা করেছে, তার পরিপ্রেক্ষিতে আদালত আজকে সঠিক কোনো নির্দেশ দেবে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত রাজ্যের মন্ত্রীর জামিনের মামলার শুনানিই আজ হলো না। যার ফলে যারা এতক্ষণ ধরে কৌতুহলী হয়ে উঠেছিলেন, যারা ভাবছিলেন যে, আজই একটা বড় কোনো খবর পাবেন, তারা কিছুটা হতাশ হয়েছেন। তবে তাদের মধ্যে থেকেই অনেকে আবার বলছেন, আজকে হয়নি তো কি হয়েছে! যে দুর্নীতি হয়েছে, তার পরিপ্রেক্ষিতে শাস্তি পেতেই হবে এই সমস্ত বড় বড় মাথাদের। তাই আগামী দিন যেদিন শুনানি হবে, সেদিন আদালতের নির্দেশ দুর্নীতির বিরুদ্ধে এবং দোষীদের শাস্তির পক্ষেই যাবে বলেই মনে করা হচ্ছে।

কিন্তু আজকে যে শুনানি হলো না, তা আবার কবে হবে? যতদূর খবর পাওয়া যাচ্ছে যে, রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহার যে জামিনের মামলার শুনানি, তা আগামী ২০ সেপ্টেম্বর ধার্য করা হয়েছে। সেদিন আদালতে হাজিরা দেবেন মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা। আর তার আগেই তার আইনজীবীকে বক্তব্য জানাতে হবে বলেই খবর পাওয়া যাচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আজকেই যদি কোনো নির্দেশ পাওয়া যেত, তাহলেই একটা বড় ফয়সালা হয়ে যেত। তবে যে কোনো কারণেই হোক, আর শুনানি হয়নি। তাই আর কয়েকটা দিন অপেক্ষা করতেই হবে। আগামী ২০ তারিখে এই মামলার শুনানি হবে। আর সেদিনই স্পষ্ট হয়ে যাবে যে, চন্দ্রনাথ সিনহা জেলে যাবেন, নাকি বাইরে থাকবেন!

বিরোধীদের দাবি, এই রাজ্যে শাসক দলের অনেক নেতা-মন্ত্রীরা নিয়োগ দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত‌। অবৈধভাবে চাকরি দেওয়ার নাম করে প্রত্যেকে টাকা তুলেছে। যার মধ্যে রাজ্যের এই মন্ত্রীও রয়েছে। অবিলম্বে তার বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত। আদালত নিশ্চিত করেই সঠিক রায় দেবে। যারা শিক্ষিত যুবক, যুবতীদের সঙ্গে প্রতারণা করেছে, যারা টাকার বিনিময়ে চাকরি দিয়েছে তারা কেউ ছাড় পাবে না। আইন অনুযায়ী প্রত্যেককেই জেলের ভেতরে যেতে হবে বলেই দাবি বিরোধীদের।