প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
পশ্চিমবঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকার অর্থনৈতিক সুবিধে দেয় না এবং বাংলাকে বঞ্চিত করে বলে মাঝেমধ্যেই অভিযোগ করে তৃণমূল সরকার। কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগ তুলে ময়দানেও নামতে দেখা যায় তাদের। আর এই পরিস্থিতিতে রাজ্যের শিক্ষা নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে যখন বিরোধীরা শাসকদলকে চেপে ধরেছে, ঠিক তখনই রাজ্যের শিক্ষা মন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে চিঠি দিলেন কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার। কিন্তু কি রয়েছে সেই চিঠিতে? বর্তমান সময়ে কি এমন বিষয় নিয়ে রাজ্যের শিক্ষা মন্ত্রীকে চিঠি দিলেন কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী?
সূত্রের খবর, এদিন সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে রুশা প্রকল্পের কাজ দ্রুত শেষ করার বিষয়টি তুলে ধরেন কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার। তিনি জানান যে, এই ব্যাপারে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রীকে চিঠি দিচ্ছেন তিনি। এক্ষেত্রে এই প্রকল্পের কাজ কেন ধীর গতিতে চলছে, সেই বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন তুলতেও দেখা যায় সুকান্তবাবুকে। আর রাষ্ট্রীয় উচ্চতর শিক্ষা অভিযান প্রকল্পের এই কাজ দ্রুত সম্পন্ন করার ব্যাপারে রাজ্যের শিক্ষা মন্ত্রীকে কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রীর পাঠানো এই চিঠি বর্তমান সময়ে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন একাংশ। কেননা যে রাজ্যের সরকার প্রতিমুহূর্তে দাবি করে যে, তারা সব থেকে বেশি কাজের নিরিখে এগিয়ে রয়েছে, সেই রাজ্যে কেন এই প্রকল্পের এত ধীর গতি! এবার তা নিয়েই রাজ্যের শিক্ষা দপ্তরের অস্বস্তি বাড়িয়ে দিতে চলেছেন কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী।
এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার বলেন, “এই প্রকল্প ২০১৩ সালে চালু হয়েছিল। তখন আমরা পশ্চিমবঙ্গে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কথা মত ২০৫ টি ইউনিট চালু হয়েছিল। আমরা নিজেরা সিলেক্ট করিনি। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কথা মত করা হয়েছে। এক্ষেত্রে ৫৫৪.৭৩ কোটি টাকা দেওয়া হয়। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, প্রত্যেকটি ক্ষেত্রে, সে গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় হোক বা মনিন্দ্রচন্দ্র কলেজ হোক, প্রত্যেকটি ক্ষেত্রে এই কাজের অগ্রগতির পরিমাণ অত্যন্ত ধীরগতিতে চলছে। তাই ব্রাত্যবাবুকে অনুরোধ করেছি, এই বিষয়গুলো যেন বিশেষভাবে দেখা হয়।”