প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
এই রাজ্যজুড়ে সবটাই অবৈধ কারবার চলছে। কয়লা থেকে শুরু করে বালি, সমস্ত ক্ষেত্রে অবৈধ রমরমা ব্যবস্থা নিয়ে গর্জে উঠছে বিরোধীরা। আর তার মধ্যেই সম্প্রতি বীরভূমের নলহাটির বাহাদুরপুর গ্রামে খাদানে বিস্ফোরণের ঘটনায় ছয় জন শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। ইতিমধ্যেই সেই ব্যাপারে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে সোচ্চার হয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। আর আজ ডেবরার কর্মসূচি থেকে এই বেআইনি খাদানে যেভাবে একের পর এক বিস্ফোরণে প্রাণ যাচ্ছে নিরীহ শ্রমিকদের, সেই ব্যাপারে এনআইএ তদন্তের দাবি জানালেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।

এদিন ডেবরায় এক আদিবাসী যুবকের মৃত্যুর ঘটনায় আদালতের অনুমতি নিয়ে প্রতিবাদ কর্মসূচি করেন শুভেন্দু অধিকারী। আর সেখানেই তাকে সাংবাদিকরা বেআইনি খাদানে যেভাবে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটছে, তা নিয়ে প্রশ্ন করেন। আর সেই ব্যাপারে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, “ইতিমধ্যেই এই ব্যাপারে দুটো কেস এনআইয়ের কাছে আছে। একটা শালতোড়া এবং আর একটি মহম্মদ বাজার। একটায় ৮১ হাজার জিলোটিন উদ্ধার হয়েছিল। এই দুটো কেস যদি ঠিক মতো ধরতে পারে, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, বীরভূম থেকে শুরু করে এই সমস্ত জেলায় অবৈধ বালি খাদান থেকে শুরু করে কয়লা খাদানে যা চলছে, তাতে অনুমোদনহীন ডিনামাইট ব্যবহার করা হচ্ছে। এতে গরীব মানুষরা মারা যাচ্ছে।”

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রাজ্যের বুকে অবৈধ খাদানে শ্রমিকের মৃত্যু এই প্রথম নয়। এর আগেও এরকম দুটি ঘটনা ঘটেছে। সেই কথা শুভেন্দু অধিকারী নিজের মুখেই জানিয়ে দিলেন। এমনকি তার সাথে সাথে তিনি এটাও জানিয়ে দিলেন যে, সেই খাদানের ঘটনায় এনআইএ তদন্ত করছে। তাই যদি তদন্ত সঠিক প্রকৃতিতে এগিয়ে যায়, তাহলে এই অবৈধ খাদানের রমরমা বন্ধ করতে অনেকেই গ্রেফতার হবেন। আর যেভাবে এই অবৈধ খাদানে রমরমা বেড়ে চলেছে, তাতে অবিলম্বে যদি এগুলো বন্ধ না করা যায়, তাহলে যে আখেরে সাধারণ নিরীহ মানুষরা প্রাণ হারাচ্ছেন, সেই কথা উল্লেখ করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএকে আরও দ্রুত তদন্তে গতি আনারই বার্তা দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।