প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে অবশেষে এসএসসি ১৮০৬ জনের দাগী অযোগ্যের তালিকা প্রকাশ করেছে। এসএসসি রাজ্য সরকারেরই একটি সংস্থা। স্বাভাবিকভাবেই তারা যে অযোগ্যের তালিকা প্রকাশ করেছে, তাতেই তো প্রমাণ হয়ে গেল যে, রাজ্যে শিক্ষা নিয়োগে ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে। এতদিন ধরে তৃণমূলের নেতারা যতই বড় বড় কথা বলুন না কেন, যতই স্বচ্ছতার বার্তা দিন না কেন, এসএসসির এই তালিকা প্রকাশের মধ্যে দিয়েই স্পষ্ট যে, রাজ্য এই নিয়োগ দুর্নীতিতে চুরি করেছে। আর সেই ঘটনাকে হাতিয়ার করেই “রাজ্য নিজেরাই বলছে, আমরা চোর, এমন জিনিস ভূ-ভারতে কোথাও দেখা যায় না” বলেই মন্তব্য করলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার।

বলা বাহুল্য, এসএসসির পক্ষ থেকে যে দাগি অযোগ্যদের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে, তারপরই বাড়তি হাতিয়ার পেয়ে গিয়েছে বিরোধীরা। তাদের পক্ষ থেকে একটাই দাবি করা হচ্ছে যে, এতদিন তো তৃণমূল নেতারা অনেক বড় বড় কথা বলতেন। এবার তারা কি বলবেন? রাজ্য সরকারেরই সংস্থা এসএসসি। তারাই তো যে চুরি হয়েছে, যে দুর্নীতি হয়েছে, তার তথ্য প্রকাশ করে দিলো। ফলে ঘুরিয়ে তো রাজ্যই স্বীকার করে নিলো যে, তারা চুরি করেছে। আর সেই চুরির ঘটনায় যারা যারা জড়িত, এবার তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ হবে তো? সেই নিয়ে বিরোধীরা প্রশ্ন তুলছেন। আর তার মাঝেই রাজ্যকে রীতিমত পাকে ফেলে দিলেন বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি।

এদিন সুকান্তবাবু বলেন, “রাজ্য সরকারেরই একটি সংস্থা এসএসসি। তারাই বলছে, আমার রাজ্য সরকার চোর! এটা ভূ ভারতে কোথাও কোনোদিন হয়েছে? যদি সিবিআই বলতো, তাও না হয় কথা ছিল যে, কেন্দ্রীয় সরকারের সংস্থা বদমায়েশি করে বলতে পারে। কিন্তু রাজ্য সরকারের সংস্থা এসএসসি, অর্থাৎ রাজ্য সরকারই বলছে যে, আমরা চোর।” বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এসএসসি যে অযোগ্য তালিকা প্রকাশ করেছে, তাকে হাতিয়ার করেই এখন বিরোধীরা আরও বেশি করে রাজ্যকে চেপে ধরছে। কেননা রাজ্যেরই সংস্থা এসএসসি। আর সেই এসএসসি যখন চুরির বিষয়টি, দুর্নীতির বিষয়টি, অযোগ্যদের বিষয়টি প্রকাশ করে ফেলেছে, তখন রাজ্য যে তাদের দুর্নীতি, তাদের চুরি স্বীকার করে নিলো, তা স্পষ্ট। আর সেই কথা তুলে ধরেই রাজ্যকে চরম লজ্জার মুখে ফেলে দিলেন সুকান্ত মজুমদার।