প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
দুর্গাপুর গণধর্ষণ কাণ্ডের পর আরও একবার স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে যে, এই রাজ্যে মহিলাদের নিরাপত্তা বলে কিছু নেই। কিন্তু তারপর এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী গতকাল যে মন্তব্য করেছেন, তা নিয়ে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যকে হাতিয়ার করে বলছেন যে, একজন মুখ্যমন্ত্রী কি করে বলতে পারেন মহিলাদের সুরক্ষা মহিলাদের নিজেদের! তাহলে তিনি পুলিশ মন্ত্রী আছেন কেন? আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সেই মন্তব্য নিয়ে বিতর্কের মাঝেই এবার রাত ১২ টার পর মেয়েদের একা বেরোনো নিয়ে মন্তব্য করে বিতর্কের মুখে পড়ে গেলেন তৃণমূলের বর্ষীয়ান সাংসদ সৌগত রায়। শুধু তাই নয়, পুলিশের পক্ষে সব জায়গায় পাহারা দেওয়া সম্ভব নয় বলেও মন্তব্য করলেন তিনি।

ইতিমধ্যেই দুর্গাপুর গণধর্ষণ কাণ্ডে পথে নেমেছে বিজেপি। পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী গতকাল যে মন্তব্য করেছেন, তা নিয়েও বিজেপি আরও বেশি করে সোচ্চার হয়েছে। আর তার মাঝেই আজ আরও বড় মন্তব্য করে বসেন তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়। রাত ১২ টার পরে মেয়েদের একা বেরোনো উচিত নয় বলে মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যকেই সমর্থন করেন তিনি।‌ আর একজন বর্ষীয়ান সাংসদ, তাও আবার শাসকদলের তিনি কি করে মহিলাদের বেঁধে দিতে পারেন? এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তো বড়াই করে বলেন যে, এই রাজ্য সবথেকে বেশি সুরক্ষিত। তাহলে মহিলারা কখন বেরোবে, আর কখন বেরোবে না, সেটা কি করে বেঁধে দেওয়া যায়? ইতিমধ্যেই এই সমস্ত প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে বিরোধীরা। তবে ঠিক কি বলেছেন সৌগত রায়?

এদিন সৌগতবাবু বলেন, “কোনো প্রতিষ্ঠান থেকে মেয়েদের বেরোনোর ব্যাপারে অবশ্যই বিধিনিষেধ থাকা উচিত। কেউ ডাক্তারি পড়ছে, সে রাত ১২ টার সময় বেরোবে তার ক্যাম্পাস থেকে, সেটা কাম্য নয়। সুতরাং সবটাই পরিস্থিতি পরিবেশের ওপর নির্ভর করবে। আমাদের দেশে এখনও মেয়েরা সব জায়গায় খোলাখোলি গভীর রাতে বেরতে পারবে, এটা পরিবেশ হয়নি। মেয়েরা একা একা বেরোবে কেন বারোটার পরে? মুখ্যমন্ত্রী যা বলেছেন, ঠিক বলেছেন। হঠাৎ বেরোনোর কারণ কি? একটা ফাঁকা মাঠের মধ্যে মেয়েরা যদি রাত ১২ টায় বেরোয়, সেটা বিপদজনক। তার কারণ সমাজে খারাপ লোক সবসময় থাকে। পুলিশ কি প্রত্যেক স্কোয়ার-ইঞ্চিতে পাহারা দেবে? তা তো নয়।”