প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
দীর্ঘদিন ধরেই তিনি দাবি করছেন যে, ৬ ডিসেম্বর তিনি বাবরি মসজিদের শিলান্যাস করবেন। তবে সকলের একটাই প্রশ্ন যে যে, বাবর ভারতবর্ষের সবথেকে বড় শত্রু, সেই বাবরের নামে কেন মসজিদ করবেন হুমায়ুন কবীর। কেন অন্য কোনো মসজিদ তিনি করতে পারছেন না? আর এসবের মধ্যে তৃণমূল গতকাল তাকে সাসপেন্ড করে। প্রশ্ন উঠতে শুরু করে যে, প্রশাসনিক সহযোগিতা কি তিনি পাবেন? তবে আজ আদালতের পক্ষ থেকে এই মামলায় হস্তক্ষেপ না করে আইন শৃঙ্খলা রক্ষার ব্যাপারে রাজ্যকেই বার্তা দেওয়া হয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই বাবরি মসজিদের করার ক্ষেত্রে আপাতত কোনো বাধা রইল না হুমায়ুনবাবুর। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে যে, পুলিশ প্রশাসন এবার কি পদক্ষেপ নেবে? আর এই পরিস্থিতিতে এবার বাবরি মসজিদ শিলান্যাসের আগেই রেজিনগর থানা থেকে ডেকে পাঠানো হলো সেই হুমায়ুন কবীরকে।
বাবরি মসজিদের শিলান্যাস নিয়ে রীতিমত সরগরম গোটা রাজ্য। প্রত্যেকটি খবরের মিডিয়ায় এই খবর প্রকাশিত হচ্ছে। গতকালই তৃণমূলের পক্ষ থেকে সাসপেন্ড করা হয় হুমায়ুন কবীরকে। কিন্তু তিনি জানিয়ে দেন যে, তিনি তার অবস্থানে অনড় আছেন। তিনি বাবরি মসজিদের শিলান্যাস করবেন। তবে বিরোধীদের একটা অংশ বলছে যে, এটা তৃণমূলের সেটিংয়ের রাজনীতি ছাড়া আর কিছু নয়। ভোটব্যাংক বজায় রাখতেই তৃণমূল হুমায়ুন কবীরের সঙ্গে সেটিং করেই এই ধরনের রাজনীতি করছে, আবার দুজনের মধ্যে সঠিক সময়ে বোঝাপড়া হয়ে যাবে। তবে সাসপেন্ড হওয়ার পরেই হুমায়ুনবাবু আশঙ্কা করেছিলেন যে, তাকে খুব বেশি হলে গ্রেফতার করা হতে পারে। কিন্তু তিনি বাবরি মসজিদের শিলান্যাস করার যে কর্মসূচি, তা থেকে সরে আসবেন না। আর এসবের মধ্যেই এবার সেই ভরতপুরের বিধায়ককে ডেকে পাঠালো পুলিশ।
জানা গিয়েছে, আজ কলকাতা হাইকোর্টে এই বাবরি মসজিদের শিলান্যাসের পরিপ্রেক্ষিতে একটি মামলার শুনানি হয়। আর সেখানেই আদালত এই মামলায় হস্তক্ষেপ না করার কথা জানিয়ে দেন। তবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার ক্ষেত্রে রাজ্যকেই দায়িত্ব নেওয়ার নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। আর রাত পোহালেই যখন বাবরি মসজিদের শিলান্যাস, তখন আদালতের সেই নির্দেশ মোতাবেকাই কি ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবীরকে রেজিনগর থানায় ডেকে পাঠানো হলো পুলিশের পক্ষ থেকে? নাকি আজ থানায় ডেকে আগামীকাল বাবরি মসজিদের শিলান্যাসের আগেই তার বিরুদ্ধে বড় কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে? তবে রেজিনগর থানায় ডাকা হলেও, শেষ পর্যন্ত কি করবেন হুমায়ুন কবীর? আদৌ তিনি যাবেন কিনা এবং যদিও বা তিনি যান, তাহলে কোথায় গিয়ে দাঁড়ায় গোটা পরিস্থিতি, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।