প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
রাত পোহালেই পশ্চিমবঙ্গে পা রাখতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আগামীকাল নদীয়ার তাহেরপুরে সরকারি কর্মসূচির পর বিজেপির দলীয় সভায় যোগ দেবেন তিনি। ২৬ এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে এখনও ভোটের দামামা না বাজলেও এসআইআর আবহে প্রথমবার বাংলায় আসছেন প্রধানমন্ত্রী। সেদিক থেকে বিজেপি নেতা কর্মীরা তো বটেই, মতুয়া সমাজের উদ্দেশ্যেও তিনি বাড়তি কোনো বার্তা দেন কিনা, তার দিকে নজর রয়েছে রাজনৈতিক মহলের। আর এই পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী যখন রাজ্যে আসছেন, তখন বিজেপি কর্মীরা তো বটেই, ব্যাপক আশায় রয়েছেন রানাঘাটের সাংসদ জগন্নাথ সরকার।
ইতিমধ্যেই পশ্চিমবঙ্গে এসআইআর প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। বিজেপি দাবি করছে যে, প্রচুর অবৈধ ভোটারের নাম বাদ যাবে। তবে তৃণমূলের আবার পাল্টা দাবি, বেছে বেছে অনেক হিন্দুদেরও নাম বাদ যাচ্ছে। যে বিজেপি নিজেদের হিন্দুদের রক্ষাকর্তা বলে দাবি করে, তারা কেন মতুয়াদের নাম বাদ গেলেও পদক্ষেপ নিতে পারছে না, তা নিয়ে তৃণমূলের পক্ষ থেকে পাল্টা প্রশ্ন তোলা হচ্ছে। আর এসবের মধ্যেই তাহেরপুরে প্রধানমন্ত্রীর সভার আগে তার বার্তা শোনার অপেক্ষায় বিজেপির সর্বস্তরের নেতা কর্মীরা। আর আজ সেই ব্যাপারেই বড় মন্তব্য করলেন রানাঘাটের বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার।
এদিন প্রধানমন্ত্রীর সভার আগেই প্রস্তুতি খতিয়ে দেখেন রানাঘাটের বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার। যেখানে তিনি বলেন, “প্রধানমন্ত্রীর যে প্রতিজ্ঞা, ২০৪৭ পর্যন্ত টার্গেট দিয়েছেন, তার আগেই তিনি তা পূরণ করবেন। ভারতবর্ষ পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ দেশে পরিণত হবে। আর সেই কারণেই প্রধানমন্ত্রীর এই সফরের গুরুত্ব অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। যারা এই দেশে আগের থেকে রয়েছেন, তারা যে ধর্মেরই হোক না কেন, কারওর ভোটাধিকার বাদ যাবে না। সারা ভারতে আজ এই প্রচার ছড়িয়ে গিয়েছে, মোদী হ্যায় তো মুমকিন হ্যায়। প্রধানমন্ত্রী সমস্ত সমস্যার সমাধান করবেন। তাই তিনি আসার আগে আমরা তার কথা শোনার জন্য, তার বার্তা শোনার জন্য আশায় বুক বেঁধে রয়েছি।”