প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
এই রাজ্যের রাজ্যপাল যখনই কোনো ঘটনা ঘটে, তখনই কেন্দ্রের কাছে রিপোর্ট পাঠান। বলেন যে, পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে। মুর্শিদাবাদে দাঙ্গার ঘটনার পর, দুজনকে কুপিয়ে খুন করার পর তিনি বলেছিলেন, আর এরকম কোনো ঘটনা ঘটবে না, এটাই শেষ ঘটনা। কিন্তু তারপর রাজ্যের বিরোধী দলনেতার শুভেন্দু অধিকারীর কনভয়ে হামলা হয়েছে। এমনকি সম্প্রতি উত্তরবঙ্গে ত্রাণকার্যে গিয়ে রক্তাক্ত হতে হয়েছে বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষকে। কিন্তু তারপরও কেন রাজ্যপাল নীরব রয়েছেন? কেন্দ্রীয় সরকার তো নিজে থেকেই কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারে না! সেক্ষেত্রে রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধানের তো কিছু নির্দিষ্ট দায়িত্ব রয়েছে। সেটা কি তিনি আদৌ করছেন? এই প্রশ্ন অনেকের মধ্যেই রয়েছে। তবে গতকালই রাজ্যপাল জানিয়ে দিয়েছেন যে, তিনি রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করে রিপোর্ট জমা দিয়েছেন। স্বাভাবিক ভাবেই অনেকের মধ্যেই কৌতুহল তৈরি হয়েছে যে, তাহলে হয়ত এবার বড় কোনো পদক্ষেপ হতে পারে পশ্চিমবঙ্গের জন্য। কিন্তু এই সমস্ত রিপোর্টের ওপর যে আর তার ভরসা নেই, এমনকি রাজ্যপাল বারবার করে এই সমস্ত রিপোর্ট তৈরি করলেও যে তিনি তাতে ভরসা রাখতে পারছেন না, তা স্পষ্ট ভাষায় বুঝিয়ে দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

ইতিমধ্যেই উত্তরবঙ্গের ত্রাণ কার্যে গিয়ে হামলার মুখে পড়েছেন বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু এবং বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ। রক্তাক্ত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন উত্তর মালদহের বিজেপি সাংসদ। সকলের মধ্যে একটাই প্রশ্ন যে, এবার কেন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে না এই রাজ্যের বিরুদ্ধে? এই পরিস্থিতি যদি চলতে থাকে, তাহলে কি করে ২৬ এর শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হবে! এখন তো কেন্দ্রের কাছে, রাষ্ট্রপতির কাছে এই রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে রিপোর্ট পাঠানো উচিত রাজ্যপালের এবং তার ভিত্তিতে তো এই রাজ্যের অগণতান্ত্রিক পরিস্থিতির বিরুদ্ধে যাতে পদক্ষেপ হয়, তার জন্য তার তদ্বির করা উচিত। কিন্তু তিনি কি সেটা করছেন? ইতিমধ্যেই রাজ্যপাল জানিয়ে দিয়েছেন যে, তিনি রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করে রিপোর্ট পাঠিয়েছেন। তবে এর আগেও এরকম অনেক ঘটনা ঘটেছে এবং তখনও তিনি রিপোর্ট পাঠিয়েছিলেন। তাই এবার আর সেই রিপোর্টের ওপর ভরসা রাখতে পারছেন না রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

এদিন রাজ্যপালের রিপোর্ট নিয়ে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে প্রশ্ন করেন সাংবাদিকরা। আর সেই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “আমি এই সব রিপোর্টে বিশ্বাস করি না। অ্যাকশন দেখতে চাই। উনি বলেছিলেন, হরগোবিন্দ দাস, চন্দন দাসের ঘটনাটাই শেষ ঘটনা, আর ঘটবে না। তারপর আমার ওপরে ঘটেছে। তারপর খগেন মুর্মু, শঙ্কর ঘোষেদের উপর ঘটেছে। এই বেপরোয়া তৃণমূলকে রুখতে অ্যাকশন চাই। রিপোর্ট চাই না।”