প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- গতকাল থেকেই কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের একটি নির্দেশ সামনে আসার পর রীতিমত উল্লসিত হয়ে পড়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। তবে তারা যে না জেনেই এই উল্লাস করছে, তা নিয়ে পাল্টা তথ্য সামনে এসেছে বিজেপির পক্ষ থেকে। কেননা শুভেন্দু অধিকারীর রক্ষাকবচ উঠে গেলেও তার বিরুদ্ধে যে সমস্ত মামলা করা হয়েছিল, তার বেশিরভাগ মামলা খারিজ হয়ে গিয়েছে। তবে যে কয়েকটি মামলা তদন্ত করার ব্যাপারে বলেছে কলকাতা হাইকোর্ট, সেখানে শুধুমাত্র রাজ্য পুলিশ নয়, সিবিআইকে দিয়েও সিট গঠন করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে আদালতের পক্ষ থেকে। অর্থাৎ এই রাজ্যের পুলিশের তদন্তে যে কারওর ভরসা নেই, তা আদালতের এই নির্দেশের ফলেই স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে সকলের কাছে। স্বাভাবিকভাবেই শুভেন্দু অধিকারী নিজে এই রায়কে স্বাগত জানিয়েছেন। কিন্তু তৃণমূল না বুঝে না শুনে শুভেন্দু অধিকারীকে এবার টাইট দেওয়া যাবে, তার বিরুদ্ধে এতদিন মামলা করা না গেলেও এবার তার বিরুদ্ধে মামলা করে তাকে কাবু করা যাবে, এরকম বিভিন্ন যুক্তি সামনে আনা হচ্ছে। তবে শাসক দল যে মূর্খের স্বর্গে বাস করছে এবং তাদের নেতারা যে কর্মীদের একত্রিত রাখতেই এই ধরনের ভুলভাল কথা বলছেন, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত বিরোধীরা। আর তার মাঝেই আজ তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় শুভেন্দু অধিকারীকে কাবু করার ব্যাপারে নয়া হুংকার দিয়ে বসলেন। আর তার পাল্টা প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে সেই কল্যাণ ব্যানার্জিকে রীতিমত ধুয়ে দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।
বলা বাহুল্য, এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে শুভেন্দু অধিকারীকে এবার বিভিন্ন দিক থেকে কাবু করা যাবে বলে বুঝিয়ে দেন তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। কলকাতা হাইকোর্ট যেভাবে তার রক্ষাকবচ তুলে নিয়েছে, তা নিয়ে বলতে গিয়ে রীতিমত বিস্ফোরক মন্তব্য করেন শ্রীরামপুরের তৃণমূল সাংসদ। শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে কল্যাণবাবু বলেন, “রাখাল মুখার্জি সারা পশ্চিমবঙ্গে চাকরি দেওয়ার বিনিময়ে যে টাকা তোলা শুরু করেছিল, তার তদন্ত এবার শুরু হবে। যারা রাজনীতি করে, তারা সবাই জানে, রাখাল মুখার্জি কে! ওর ক্লোজড। ওর চ্যালা, চামুন্ডা যে যেখানে আছে, মেদিনীপুর জেলা টলমল হয়ে যাবে। যে যেখানে আছে, সবাই ডুববে। অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ চলে যাওয়ার কারণে এবার ওর মস্তানি কমে যাবে। আপনারা ভাবতে পারেন, একজন মহিলা মুখ্যমন্ত্রী সম্পর্কে যা ইচ্ছে, তাই বলে গিয়েছে। আমরা একটা কেস পর্যন্ত করতে পারিনি।”
এদিকে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় শুভেন্দু অধিকারীর রক্ষাকবচ উঠে যাওয়ার পর তাকে টাইট দেওয়া হবে বলে সাংবাদিক সম্মেলনে বুঝিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলেও, তাকে গুরুত্বই দিতে রাজি নন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। এতদিন যেভাবে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্যের কোনো প্রতিক্রিয়া দিতে শোনা যায়নি তাকে, এদিনও নিজের সেই অবস্থান বজায় রাখলেন শুভেন্দু অধিকারী। নিজের ক্ষুদ্র মন্তব্যের মধ্যে দিয়ে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে রীতিমতো লজ্জায় ফেলে দিয়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, “আমি ওর কথার উত্তর দিই না। মদখোর মাতালদের কথার উত্তর আমি দেই না। ওই মাতাল মদন, মাতাল কল্যাণের উত্তর আমি দেব না।”