প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
এই রাজ্যে যে গণতন্ত্র বলতে কিছু নেই, তা সম্প্রতি নাগরাকাটার ঘটনার মধ্যে দিয়ে আরও একবার প্রমাণিত হয়ে গিয়েছে। যেখানে নাগরাকাটায় উত্তরবঙ্গের বন্যা বিপর্যস্ত মানুষের পাশে দাঁড়াতে গিয়েছিলেন বিজেপির জনপ্রতিনিধিরা। আর সেখানেই বিজেপির একজন আদিবাসী সাংসদ খগেন মুর্মুর ওপর হামলা হয়েছে, রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে ভর্তি হতে দেখা দিয়েছে হাসপাতালে। আর তারপর থেকেই রীতিমত পথে নামতে শুরু করেছে বিজেপি। আদিবাসী সমাজও সেই প্রতিবাদে সামিল হয়েছে। গতকাল উত্তরবঙ্গের সেই নাগরাকাটায় খগেন মুর্মুর ওপর যে হামলা হয়েছে এবং যেভাবে তার রক্ত ঝড়েছে, সেই ঘটনার প্রতিবাদে একটি কর্মসূচিতে শামিল হন শুভেন্দু অধিকারী। আর সেই কর্মসূচি থেকেই আরও বড় গর্জন ছাড়েন তিনি।

গতকাল নাগরাকাটায় কিছুদিন আগে যে হামলা হয়েছে, যেভাবে খগেন মুর্মু আক্রান্ত হয়েছেন, যেভাবে একজন আদিবাসী সাংসদ রক্তাক্ত হয়েছেন, সেই ঘটনার প্রতিবাদে ফের আন্দোলনে নামে বিজেপি। যেখানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আর সেই কর্মসূচি থেকেই যেভাবে একজন আদিবাসী সংসদের রক্ত ঝরেছে, তার প্রতিবাদে উপস্থিত জনতাকে শুভেন্দুবাবু জিজ্ঞেস করেন যে, আপনারা বদলা চান কিনা! আর সাথে সাথেই সমবেত জনতা শুভেন্দু অধিকারীর সেই প্রশ্নের উত্তরে সাড়া দিয়ে আওয়াজ তুলতে শুরু করেন। আর তখনই যদি বদলা চান, তাহলে ২০২৬-এ বদল আনতে হবে বলে আহ্বান জানান রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।

এদিন নাগরাকাটায় বিজেপি সাংসদের ওপর হামলার ঘটনার প্রতিবাদে একটি সভায় উপস্থিত রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আর সেখানেই তিনি বলেন, “নাগরাকাটার এই ঘটনার প্রতিবাদে গোটা রাজ্যে প্রতিবাদ কর্মসূচি হচ্ছে, প্রতিবাদ কর্মসূচি চলবে। আপনারা রক্ত দেখেছেন তো? বদলা চান! তাহলে ২৬ এ বদল আনতে হবে। ২৬ এ যদি বদল হয়, তাহলে বদলাও হবে। শুধু বদলা নয়, সুদে আসলে বদলা হবে।” অর্থাৎ যেভাবে একজন আদিবাসী সাংসদ এবং একজন বিধায়কের ওপর হামলা হয়েছে, তা যে কোনোমতেই মেনে নেওয়া হবে না, ক্ষমতায় এলে যে ইঞ্চিতে ইঞ্চিতে তার বদলা নেবে বিজেপি, তা বুঝিয়ে দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।