প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এবং তার দলের নেতারা ক্রমাগত বলতে থাকেন যে, বিজেপি নাকি বাংলা বিরোধী দল! বিজেপি নাকি বাংলার সংস্কৃতি জানে না! ভোটের সময় তারা নাকি বাংলাকে আপন করে নেওয়ার চেষ্টা করে! কিন্তু বাকি বছরজুড়ে তারা বাংলার সঙ্গে বিমাতৃসুলভ আচরণ করে। এমনকি বিজেপি শাসিত রাজ্যে বাঙালিরা গেলে তাদেরকে নাকি হেনস্থা পর্যন্ত করা হয়। বর্তমানে ২৬ এর বিধানসভা ভোটের আগে এই অভিযোগ তুলে বিজেপির বিরুদ্ধে পশ্চিমবঙ্গে বিভিন্ন কর্মসূচি করতে দেখা যাচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেসকে। কিন্তু এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীও যে কাজ করে দেখাতে পারেননি, এই রাজ্যের তৃণমূল সরকারও যে কাজ করে দেখাতে পারেনি, এবার দুর্গাপুজোর আগে বাঙালিকে এবং তাদের উৎসবকে ঠিক কতটা গুরুত্ব দেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, তা কেন্দ্রীয় সরকারের আজকের একটি পদক্ষেপের মধ্যে দিয়েই স্পষ্ট হয়ে গেল। প্রমাণ হয়ে গেল যে, তৃণমূল কংগ্রেস মুখেই বাংলাপ্রেমী দল বলে দাবি করার চেষ্টা করে। কিন্তু বাস্তবে বাঙ্গালীদের সম্মান দেয় একমাত্র বিজেপি। তারা বাঙালির মনোন, বাঙালির সংস্কৃতিকে আপন করে নিয়েছে জন্যেই আজ এত বড় সিদ্ধান্ত নিলো কেন্দ্রীয় সরকার। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, কি সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার?
দুর্গাপুজোর আগেই কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ্যে এসেছে। যার ফলে যারা কেন্দ্রীয় সরকারের চাকরি করেন, তারা যেমন খুশি, ঠিক তেমনই কেন্দ্রীয় সরকারের চাকুরিতে কর্মরত যে সমস্ত বাঙালিরা রয়েছেন, তারা আরও বেশি খুশি। কারণ সামনেই দুর্গাপূজা রয়েছে। উৎসবের মরশুমে হাতে বেশি করে অর্থের প্রয়োজন। আর পুজো যেহেতু একদম মাসের শেষে রয়েছে, তাই নতুন মাস না পড়লে বেতন ঢুকবে না, এটাই স্বাভাবিক। তবে মানুষের মনের ভেতরে চলা ইচ্ছে খুব ভালো করেই বোঝেন ভারতবর্ষের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তাই কোনোকালে যে ঘটনা ঘটেনি, এবার সেটাই ঘটতে চলেছে এই দেশে। দুর্গাপুজোর আগেই চলতি মাসেই বেতন ঢুকতে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে। যতদূর খবর পাওয়া যাচ্ছে যে, আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর কেন্দ্রের সমস্ত সরকারি কর্মচারীরা তাদের এই মাসের বেতন পেয়ে যাবেন। অর্থাৎ নতুন মাস পড়ার আগেই নিজেদের বেতন পেয়ে যাবেন কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীরা।
আর কেন্দ্রীয় সরকারের এই বিজ্ঞপ্তি সামনে আসার পরেই রীতিমত খুশি কেন্দ্রীয় সরকারের চাকুরিতে যে সমস্ত বাঙালিরা আছেন, তারা। কারণ, বাংলা ও বাঙালির সবথেকে শ্রেষ্ঠ উৎসব হচ্ছে এই দূর্গা পুজো। স্বাভাবিকভাবেই মাসের শেষে পুজো হওয়ার কারণে সমস্ত স্তরের সরকারি কর্মচারীরাই একটু চাপের মধ্যে ছিলেন। যদি এই মাসের বেতনটা পুজোর মধ্যেই ঢুকে যেত, তাহলে তাদের অনেকটাই সুবিধা হতো, এমনটাই তারা চাইছিলেন। কিন্তু তারা জানেন যে, সরকারি নিয়ম আলাদা। তাই এমনটা হবে না। কিন্তু বাংলার তৃণমূল সরকার মুখে যতই বলুক যে, তারা বাংলা প্রেমি, বাস্তবে কিন্তু বাংলার সংস্কৃতি এবং বাংলার উৎসবকে যে সব থেকে বেশি প্রাধান্য দেয় কেন্দ্রীয় সরকার এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, তা এই একটা সিদ্ধান্তের মধ্যে দিয়েই স্পষ্ট হয়ে গেল। প্রমাণ হয়ে গেল যে, রীতিনীতি ভেঙে দুর্গাপুজোর আগে উৎসবের আগে কর্মচারীদের আনন্দের কথা মাথায় রেখে ২৬ তারিখেই এবার কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের ব্যাংক একাউন্টে ঢুকতে চলেছে সরকারি বেতন। স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠছে যে, এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তো বলেন যে, বিজেপি বাংলা বিরোধী দল। তাহলে এই সিদ্ধান্তের মধ্যে দিয়ে বরঞ্চ উল্টোটা প্রমাণ হলো। এখন তো বোঝা যাচ্ছে, বিজেপি বাংলার সংস্কৃতিকে সবথেকে বেশি আপন করে নিয়েছে। আর তৃণমূল কংগ্রেস যারা মুখে নিজেদের বাংলা প্রেমী দল বলে, তারা এরকম কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতাই দেখাতে পারল না। যে সিদ্ধান্ত নিয়ে রীতিমত কেন্দ্রীয় সরকারের চাকুরিতে কর্মরত সমস্ত স্তরের কর্মীদের মন জয় করে নিলেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। যার ফলে সকলেই প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাতে শুরু করেছেন।