প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- পশ্চিমবঙ্গের বুকে তৃণমূল এবং কাটমানি সমার্থক শব্দ হয়ে দাঁড়িয়েছে। নিয়োগ দুর্নীতি থেকে শুরু করে চাকরি চুরি থেকে শুরু করে বালি, কয়লা বিভিন্ন ক্ষেত্রে টাকা ছাড়া তৃণমূল আর কিছুই বুঝতে পারছে না বলেই দাবি করেন বিজেপি নেতারা। যেখানেই কোনো বড় মাপের নির্মাণ কার্য গড়ে ওঠে, সেখানেই তৃণমূল নেতাদের কাটমানি দিতে হয় বলে বিভিন্ন সময় অভিযোগ উঠেছে। আর এবার ভোটের মুখে তৃণমূলের এক পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামীর বিরুদ্ধে উঠলো ভয়ংকর অভিযোগ। যে ব্যক্তির বিরুদ্ধে বান্ডিল বান্ডিল টাকা নেওয়ার ছবি পোস্ট করলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার।
এই রাজ্য জুড়ে বিধানসভা নির্বাচনের সময় যত এগিয়ে আসছে, ততই এক দল অপর দলের গোপন তথ্য মানুষের সামনে আনতে শুরু করেছে। এবার তৃণমূলের অস্বস্তি বাড়িযে একটি ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করলেন রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার। যেখানে উত্তর ২৪ পরগনার বিলকান্দা ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামী পাপু দাস বান্ডিল বান্ডিল টাকা নিচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। তবে সুকান্তবাবু এই ছবি পোস্ট করে তৃণমূলের বিরুদ্ধে সরব হলেও, তাকে কিন্তু অস্বীকার করেননি অভিযুক্ত তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামী। উল্টে তিনি এই ঘটনা স্বীকার করে নিয়ে মাটি কাটার যন্ত্র ভাড়া দিয়েছিলেন, তার টাকাই নিয়েছেন বলে দাবি করেছেন। তবে যে ছবি সুকান্তবাবু সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন, তার সত্যতা যাচাই করেনি প্রিয়বন্ধু মিডিয়া। তবে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বাড়তে শুরু করেছে রাজনৈতিক তরজা।
এদিন সোশ্যাল মিডিয়ায় তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামীর বান্ডিল বান্ডিল টাকা নেওয়ার ছবি পোস্ট করে রীতিমত সোচ্চার হয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার। তার বক্তব্য, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজত্বে তোলাবাজি আর সিন্ডিকেটের দাপট। পশ্চিমবঙ্গে একের পর এক বৃহৎ শিল্প সংস্থা ব্যাবসা গুটিয়ে পালাতে বাধ্য হয়েছে। এখন একই চাপে দম বন্ধ হয়ে যাচ্ছে স্থানীয় ব্যবসায়ীদেরও। পাড়ার দোকানদার, কারখানা মালিক সবাইকে তোলা দিতে বাধ্য করা হচ্ছে তোলা দিতে। বাধ্য করছে তৃণমূলের রংবাজ, দাপুটে তোলাবাজরা।”