প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- সামনেই ২৬ এর বিধানসভা নির্বাচন। হাতে আর কয়েক মাস বাকি রয়েছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত বিজেপির নয়া রাজ্য সভাপতি হলেও, রাজ্য কমিটি গঠন হয়নি। স্বাভাবিকভাবেই সেই কমিটিতে কারা জায়গা পাবেন এবং নির্বাচনের আগে আদৌ এই কমিটি গঠন হবে কিনা, তা নিয়ে বিজেপির মধ্যেই চর্চা চলছে। এমনকি শাসকদলের পক্ষ থেকেও যে দল ক্ষমতা দখল করবে বলে স্বপ্ন দেখছে, তারা এখনও পর্যন্ত কেন কমিটি গঠন করতে পারছে না, তা নিয়ে খোঁচা দেওয়া হচ্ছে। তবে কমিটি গঠন না হলেও বিজেপির যে কাজ থেমে নেই এবং বিজেপি যে পারিবারিক পার্টি নয়, তা এই কমিটি গঠন নিয়ে যখনই প্রশ্ন উঠেছে, তখনই জবাব দিয়েছেন গেরুয়া শিবিরের নেতারা। গতকাল সল্টলেকে বিজেপির দলীয় কার্যালয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও। আর সেই বৈঠকের পর বাইরে বেরিয়ে এসে যখন তিনি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন, তখন তাকে সেই নয়া রাজ্য কমিটি গঠন নিয়ে প্রশ্ন করা হয়। আর সেই প্রশ্নের উত্তরে গোপন খবর ফাঁস করে দেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।
বলা বাহুল্য, বারবার করে নির্বাচনে যখন বিজেপি ক্ষমতা দখল করার স্বপ্ন দেখছে, তখন কেন তাদের কমিটি গঠন হচ্ছে না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। অনেক রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরাও এই প্রশ্ন তুলেছেন। বিজেপি কেন ঘর গোছাতে পারছে না, সামগ্রিকভাবে কমিটি গঠন করা অত্যন্ত প্রয়োজন। এইরকম নানা দাবি বিভিন্ন মহলের পক্ষ থেকে করা হয়েছে। তৃণমূলের পক্ষ থেকেও বিজেপির এই কমিটি গঠন না হওয়া নিয়ে তাদের অভ্যন্তরীণ কোন্দল রয়েছে বলে খোঁচা দেওয়া হচ্ছে। তবে সমালোচকদের সেই সমস্ত বক্তব্যকে এদিন খন্ডন করে দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। স্পষ্ট ভাষায় তিনি বুঝিয়ে দিলেন, বিজেপি কোনো পারিবারিক পার্টি নয়। তৃণমূলের মত কোনো সংস্থার কথায় বিজেপি চলে না। তাদের একটা নির্দিষ্ট সিস্টেম রয়েছে। আর সেই সিস্টেম অনুযায়ী সমস্ত কাজকর্ম পরিচালিত হয়। এমনকি কমিটি গঠন না হলেও যে কোনো কাজ তাদের থেমে নেই, সেই কথাও স্পষ্ট করে দেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।
এদিন বিজেপির নয়া রাজ্য কমিটি নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে শুভেন্দুবাবু বলেন, “আমি এটা নিয়ে বাইরে কথা বলব না। আমাদের কোনো কাজ তো থেমে নেই। স্ট্রাকচার তো আছে। এখন যুব মোর্চার প্রেসিডেন্ট আছে। তিনি থাকলে তিনি থাকতে পারেন। তিনি না থাকলে তিনি অন্য কোনো জায়গা পাবেন। মহিলা মোর্চার ক্ষেত্রেও তাই। সবার ক্ষেত্রেই তাই। এক্ষেত্রে কোনো ব্যাপার নেই। আজকে সুকান্ত বাবু সভাপতি ছিলেন, সেই জায়গায় শমীকদা সভাপতি। বিজেপি কোনো কোম্পানি নয়, পারিবারিক পার্টি নয়। এখানে আইপ্যাকের মত কেউ নেই। এখানে রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত হয়। বিজেপির পদাধিকারী হতে গেলে ৫০ টি প্রাথমিক মেম্বারশিপ নিতে হয়। আর প্রাথমিক মেম্বারশিপ নিয়ে সক্রিয় সদস্য হতে হয়।”