প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
এই রাজ্যে নিয়োগ দুর্নীতি হয়েছে। এই রাজ্যে কয়লা, বালি চুরি হয়েছে। বিভিন্ন সময় বিরোধীদের মুখ থেকে সেই সমস্ত কথা শোনা গিয়েছে। কিন্তু বিভিন্ন ঘটনায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা তদন্তের ভার নিলেও, তাদের ভূমিকা নিয়েই উঠেছে সব থেকে বেশি প্রশ্ন। তারা মাঝে মধ্যেই শীতঘুম থেকে উঠে তদন্ত করে। কিন্তু আবার তাদের সেই তদন্তের গতিপ্রকৃতি নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। যার ফলে অনেকেই সেটিং তত্ত্ব সামনে আনেন। তবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা কিভাবে তদন্ত করবে, সেটা একান্তই সেই তদন্তকারী সংস্থার ব্যাপার। আর এসবের মধ্যেই ফের রাজ্য জুড়ে তল্লাশি চালাতে শুরু করলো কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি।

জানা গিয়েছে, শুধু পশ্চিমবঙ্গ নয়, ঝাড়খণ্ডেরও একাধিক জায়গায় তল্লাশি চালিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। কিন্তু হঠাৎ করে শীতের এই মরশুমে তাদের সক্রিয়তার কারণ কি? যে কেন্দ্রীয় সংস্থার ভূমিকা নিয়ে বারবার করে প্রশ্ন ওঠে, তাদের হঠাৎ সক্রিয় হয়ে ওঠার নেপথ্যে থেকে বড় কোনো কারণ রয়েছে? যতদূর খবর পাওয়া যাচ্ছে, রাজ্যের বেশ কিছু জায়গায় কয়লা মাফিয়াদের বিরুদ্ধে তল্লাশি চালিয়েছে ইডি। যেখানে কলকাতা, সল্টলেক, হাওড়া, দুর্গাপুর, আসানসোল, পুরুলিয়া সহ একাধিক জায়গায় পৌঁছে গিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। এমনকি কলকাতার বাইপাসের পাশে একটি আবাসনেও তারা তল্লাশি চালানোর কাজ শুরু করেছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তদন্ত নিজস্ব গতিতে চলে। তবে কয়লা মাফিয়াদের বিরুদ্ধে অভিযোগ নতুন কিছু নয়। বারবার করে বিরোধীদের মুখ থেকেও এই রাজ্যের বুকে দুর্নীতি নিয়ে বহু কথা শোনা গিয়েছে। কিন্তু তারা কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার কাছ থেকে যে তদন্তের প্রত্যাশা করে, তারা সেই প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেনি বলেই অনেকে মনে করেন। সেদিক থেকে হঠাৎ করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা শীতঘুম ভেঙে যদি এই কয়লা মাফিয়াদের জব্দ করতে পদক্ষেপ গ্রহণ করে, তাহলে তা দুর্নীতির বিরুদ্ধে আওয়াজ তোলা জনসাধারণের কাছে অত্যন্ত খুশির খবর বয়ে আনবে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।