প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- ভারতের পার্শ্ববর্তী দেশ নেপাল। নেপালের সীমান্তের একটা বড় অংশ ভারতের সঙ্গে সংযুক্ত রয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই নেপালে কিছু হলে ভারতের সীমান্তবর্তী এলাকাগুলিতে যে তার যথেষ্ট প্রভাব পড়ে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। পশ্চিমবঙ্গেও নেপালের সীমান্তবর্তী এলাকা রয়েছে। যেভাবে নেপাল উত্তপ্ত হয়ে রয়েছে, যেভাবে সেখানে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে, তাতে ভারত তথা পশ্চিমবঙ্গে যাতে তার কোনো প্রভাব না পড়ে, তার জন্য কেন্দ্রীয় সরকার যথেষ্ট সতর্ক। সতর্ক রাজ্য প্রশাসনও। আর পরিস্থিতিতে গতকালই পানিট্যাঙ্ক সীমান্তবর্তী এলাকা পরিদর্শন করেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। যেখানে স্থানীয় বাসিন্দা থেকে শুরু করে প্রশাসনের সঙ্গেও কথা বলেন তিনি। আর সেখান থেকেই কলকাতায় না ফিরে সোজা দিল্লি চলে যাচ্ছেন পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল।
বলা বাহুল্য, যখনই পশ্চিমবঙ্গের সাংবিধানিক প্রধান দিল্লি উড়ে যান, তখনই বিভিন্ন মহলে একটা জল্পনা তৈরি হয় যে, তিনি কি কারণে দিল্লি উড়ে যাচ্ছেন? এবারেও যখন তার দিল্লি যাওয়ার খবর পাওয়া গেল এবং রিপোর্ট নিয়ে দিল্লি যাচ্ছেন তিনি, এই খবর সামনে এলো, তখন নিঃসন্দেহে একটা কৌতুহল বিভিন্ন মহলে তৈরি হয়েছে। তবে বর্তমানে ভারত নেপাল সীমান্তের পরিস্থিতি অত্যন্ত উদ্বেগজনক হয়ে দাঁড়িয়েছে অনেকের কাছেই। কারণ নেপালের উত্তপ্ত পরিস্থিতি সকলেরই জানা। তাই গতকাল পানিট্যাঙ্কি পরিদর্শনের পর সমস্ত রিপোর্ট নিয়ে তড়িঘড়ি দিল্লিতে পৌঁছে যাচ্ছেন পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল। যেখানে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের কাছে সীমান্তের গোটা পরিস্থিতি নিয়ে রিপোর্ট জমা দেবেন তিনি।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সীমান্তের পরিস্থিতি নিয়ে কিছুটা হলেও চিন্তা বাড়ছে সকলের মধ্যেই। তাই এই পরিস্থিতিতে আগেভাগেই তৎপরতা এবং নজর রাখতে শুরু করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। আর সেই কারণেই তড়িঘড়ি পানিট্যাঙ্কি এলাকা পরিদর্শন করেছেন রাজ্যপাল। তবে শুধু পরিদর্শন করাই নয়, এবার একেবারে রিপোর্ট জমা দিতে উত্তরবঙ্গ থেকেই সোজা দিল্লির পথে রওনা দিলেন সিভি আনন্দ বোস।
