প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
এই রাজ্যজুড়ে অনেকেই ভাবতেন যে, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সঠিকভাবে কাজ করছে না কেন? তারা কেন আসল মাথাকে ধরছে না! তারা কেন দুর্নীতির জন্য বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে না! মাঝেমধ্যেই তাদের গতি নিয়ে প্রশ্ন তুলতে দেখা যেত রাজ্যের সাধারণ মানুষকে। অনেকে এটাও বলতেন যে, কেন্দ্রের সঙ্গে রাজ্যের সেটিং নেই তো? তার ফলেই বিভিন্ন দুর্নীতির তদন্তের ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার এই ঢিলে গতি দেখতে পাওয়া যাচ্ছে না তো? আর এই সমস্ত কিছু প্রশ্নের মাঝেই আজ সাত সকালেই অ্যাকশন মুডে দেখা গেল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডিকে।
জানা গিয়েছে, আজ একেবারে সকাল থেকেই কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে জেলায় জেলায় পৌঁছে গিয়েছে ইডি আধিকারিকরা। যেখানে কলকাতার রিজেন্ট পার্ক এলাকায় এবং বেহালার শখের বাজারে এলাকায় পৌঁছে গিয়েছেন তারা। পাশাপাশি পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম এবং উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বেশ কিছু জায়গায় পৌঁছে গিয়েছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। মোটের ওপর গোটা রাজ্যের প্রায় ২২ টি জায়গায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি আধিকারিকরা তল্লাশি চালাচ্ছেন বলে খবর। কিন্তু কি এমন কারণ রয়েছে, যার জন্য সাত সকালে রাজ্য জুড়ে ছড়িয়ে পড়লো কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা? যতদূর খবর পাওয়া যাচ্ছে যে, যে সমস্ত বালি খাদান রয়েছে, সেই বালি খাদান থেকে বালি বের করে তা অবৈধভাবে পাচার করা হত। আর এক্ষেত্রে একটি বড় সিন্ডিকেট কাজ করত। তাই যে অবৈধ পাচার হত এবং সে ক্ষেত্রে যে আর্থিক লেনদেন হত, তার সুবিধা কাদের কাদের কাছে পৌঁছেছে, তা জানতেই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার এই তল্লাশি।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে যে কোনো দুর্নীতির তদন্তের ক্ষেত্রেই আর ধীরে গতি দেখানো চলবে না। এখন তাদের অত্যন্ত অ্যাকশন মুডেই চলতে হবে। বালি খাদানের ক্ষেত্রে দীর্ঘদিন ধরেই এই রাজ্যের বিরোধীরা অভিযোগ করছে যে, বালি পাচারের সঙ্গে শাসকদলের অনেক নেতারা জড়িত। তাদের কাছে অবৈধ বালি পাচারের টাকা পর্যন্ত পৌঁছেছে। সেক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার কাছে সেরকম যদি কোনো তথ্য থাকে এবং তার ভিত্তিতেই তারা যদি তল্লাশি চালিয়ে থাকে, তাহলে যারা এই সমস্ত অন্যায় মূলক কাজের সঙ্গে জড়িত, তাদের কিন্তু ব্যাপক চাপের মুখে পড়তে হতে পারে। সেক্ষেত্রে রাজ্যজুড়ে যে ২২ টি জায়গায় তল্লাশি চালাচ্ছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা, তাদের তল্লাশির পর কি তথ্য উঠে আসে, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।