প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে কি করে জব্দ করতে হয়, তা বিরোধী দলনেতা হওয়ার পর থেকেই একের পর এক পদক্ষেপের মধ্যে দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছেন শুভেন্দু অধিকারী। প্রত্যেকটি ধাপে ধাপে তিনি রাজ্যের শাসক দলকে লড়াইয়ের মধ্যে দিয়ে বুঝিয়ে দিচ্ছেন যে, এক ইঞ্চি জায়গা তৃণমূলকে ছাড়া হবে না। গতকাল তৃণমূলের ধর্না মঞ্চ, যা মেয়ো রোডে হয়েছিল, যেখানে অনুমতি পেরিয়ে যাওয়ার পরেও মঞ্চ লাগানো ছিল। সেই মঞ্চ খোলার কাজ শুরু করে সেনা। তৎক্ষণাৎ সেখানে পৌঁছে গিয়ে সেনার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি এটাও বলেন যে, ভারতীয় সেনাকে বিজেপির কথায় চলতে হচ্ছে। স্বাভাবিকভাবেই একজন মুখ্যমন্ত্রী কিভাবে দেশের সেনাবাহিনীকে এইভাবে অপমান করতে পারেন, তা নিয়ে বিভিন্ন মহলে উঠতে শুরু করে প্রশ্ন। আর তার মধ্যেই এবার মুখ্যমন্ত্রী সেই মন্তব্যের কয়েক ঘন্টা পেরোতে না পেরোতেই রাতেই বড় পদক্ষেপ নিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

প্রসঙ্গত, গতকাল সেনার পক্ষ থেকে তৃণমূলের মঞ্চ খোলার সাথে সাথেই ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সংবাদমাধ্যমের সামনে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে তিনি এটাও বলেন যে, সেনাকে বিজেপির কথায় চলতে হচ্ছে। পুরোপুরি ভাবে বিজেপি গোটা ব্যবস্থাকে পরিচালিত করছে। স্বাভাবিকভাবেই দেশের সেনাবাহিনীকে মুখ্যমন্ত্রী যে ভাষায় আক্রমণ করলেন, তা যে একেবারেই শোভনীয় নয় এবং এর বিরুদ্ধে যে একটা জোরালো প্রতিবাদ হবে, সেই নিয়ে একটা চর্চা ছিলই। আর মুখ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্যের কয়েক ঘন্টা পরেই সেই মেয়ো রোডে পৌঁছে গেলেন শুভেন্দু অধিকারী। বিজেপি বিধায়কদের সাথে নিয়ে জাতীয় পতাকা হাতে সেনাবাহিনীর অপমানের বিরুদ্ধে স্লোগান তুলতে দেখা গেল তাকে।

মেয়ো রোডে বিজেপি বিধায়কদের নিয়ে শুভেন্দু অধিকারী মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে প্রতিবাদ করেন। তিনি স্লোগান তোলেন, “সেনাবাহিনীর অপমান মানছি না, মানব না।” এমনকি “মুখ্যমন্ত্রী হায় হায়” বলেও স্লোগান তুলতে দেখা যায় শুভেন্দু অধিকারী সহ বিজেপি বিধায়কদের। বলা বাহুল্য, এর আগেও দেশের সেনাবাহিনীকে আক্রমণ করার কারণে মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ করেছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। আর গতকাল মেয়ো রোডে মঞ্চ খুলে নেওয়ার কারণে মুখ্যমন্ত্রী যেভাবে সেনাবাহিনীকে রাজনৈতিক আক্রমণ করলেন, তাতে এবার তৃণমূল এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে বড় রাজনৈতিক অস্ত্র পেয়ে গেলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাই তড়িঘড়ি জাতীয় পতাকা হাতে নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে সেই মেয়ো রোডেই প্রতিবাদ করে তৃণমূলকে গাড্ডায় ফেলে দিলেন নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক। ঘটনা পরম্পরা দেখে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।