প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- গতকাল তৃণমূলের ধর্ণা মঞ্চ খুলে নেয় সেনা। যেখানে অনুমতি পেরিয়ে যাওয়ার পরেও সেই মঞ্চ না করার কারণেই সেনার পক্ষ থেকে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয় বলে খবর। আর সেনার পক্ষ থেকে যখন মঞ্চ খোলার খবর পান মুখ্যমন্ত্রী, তখন তড়িঘড়ি তিনি সেখানে পৌঁছে যান। পরবর্তীতে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সেনাবাহিনী বিজেপির কথায় চলছে বলে মন্তব্য করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুধু তাই নয়, তিনি যখন এসেছেন, তখন তাকে দেখে ২০০ সেনা পালিয়ে গিয়েছে বলেও মন্তব্য করতে দেখা যায় এই রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধানকে। স্বাভাবিক ভাবেই একটি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হয়ে তিনি যেভাবে সেনাবাহিনীকে অপমান করলেন, তা নিয়ে অনেকেই হতচকিত হয়ে যান। মুখ্যমন্ত্রীর সেনাবাহিনীকে এই ধরনের মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে রাতে সেই মেয়ো রোডেই জাতীয় পতাকা হাতে প্রতিবাদ করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী সহ বিজেপি বিধায়করা। আর সেই প্রতিবাদ কর্মসূচি থেকেই রাজ্যের সাধারণ মানুষদের বড় আহ্বান জানান শুভেন্দুবাবু।

প্রসঙ্গত, মুখ্যমন্ত্রী গতকাল সেনাবাহিনী মঞ্চ খুলছে, এই খবর পেয়েই মেয়ো রোডে পৌঁছে যান। কিন্তু সেখানে গিয়ে তিনি যে সমস্ত মন্তব্য করেন, তাতে অনেকেই আশ্চর্য হয়ে যান। অনেকেই বলতে শুরু করেন যে, একজন মুখ্যমন্ত্রী কি করে সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে এই ধরনের মন্তব্য করতে পারেন? কি করে তিনি সেনাকে ছোট করতে পারেন? তাকে দেখে নাকি সেনারা পালিয়ে গিয়েছে, এমন মন্তব্য কি একজন দায়িত্বশীল, তাও আবার মুখ্যমন্ত্রীর পক্ষে করা সম্ভব? আসলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শুধুমাত্র নিজেকে বড় করে দেখাতে চান। আর সেটা করতে গিয়ে তিনি আবারও সেনাবাহিনীতে অপমান করে বসলেন বলেই দাবি করতে শুরু করে বিরোধীরা। আর তার পরিপ্রেক্ষিতেই মুখ্যমন্ত্রীর এই অপমানের বিরুদ্ধে সেনার পক্ষ নিয়ে সেনাবাহিনীর কৃতিত্বকে কুর্নিশ জানিয়ে মেয়ো রোডে জাতীয় পতাকা হাতে প্রতিবাদ করেন শুভেন্দু অধিকারী সহ বিজেপি বিধায়করা।

শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “”যে যার মত করে এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সেনাবাহিনীকে যেভাবে অপমান করেছেন, তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করুন। জাতীয় পতাকা হাতে নিয়ে রাজ্যের সাধারণ মানুষরা রাস্তায় নামুন। প্রতিবাদ করুন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেনাবাহিনীকে অপমান করেছেন। তার বিরুদ্ধে সকলে গর্জে উঠুন।” অর্থাৎ বোঝাই যাচ্ছে যে, ২৬ এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূলের বিরুদ্ধে রাস্তায় নামার মত অনেক ইস্যু বিজেপির কাছে রয়েছে। কিন্তু গতকাল মুখ্যমন্ত্রী যেভাবে সেনাবাহিনীকে খাটো করেছেন, তার পরিপ্রেক্ষিতে এবার দেশপ্রেমিক, রাষ্ট্রবাদী জনসাধারণকে আরও বেশি করে রাস্তায় নেমে প্রতিবাদে সামিল হওয়ার বার্তা দিয়ে তৃণমূলের স্নায়ুর চাপ অনেকটাই বাড়িয়ে দিলেন শুভেন্দু অধিকারী। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।