প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
গতকাল মেয়ো রোডে তৃণমূলের ধর্ণা মঞ্চ খুলে নেয় সেনা। যেখানে নির্ধারিত সময় পেরিয়ে যাওয়ার পরেও অনুমতি না থাকায় সেই মঞ্চ থাকার কারণে তা সেনার পক্ষ থেকে খোলার কাজ শুরু হয়। আর তারপরেই ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যেখানে সংবাদমাধ্যমের সামনে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে তাকে দেখে ২০০ সেনা পালিয়ে গিয়েছে বলে মন্তব্য করেন তাদের প্রশাসনিক প্রধান। স্বাভাবিকভাবেই একজন মুখ্যমন্ত্রী কি করে সেনা বাহিনীকে এত ছোট করতে পারেন, তা নিয়ে গতকালই সেই মেয়ো রোডে গিয়ে জাতীয় পতাকা হাতে প্রতিবাদ করেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী সহ বিজেপি বিধায়করা। আর আজ সকাল থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় বিজেপির পক্ষ থেকে মুখ্যমন্ত্রীর তরফে সেনাবাহিনীকে যেভাবে অপমান করা হয়েছে, তা নিয়ে শুরু হয়েছে প্রতিবাদ।

প্রসঙ্গত, গতকাল মুখ্যমন্ত্রী যেভাবে সেনাবাহিনীর উদ্দেশ্য মন্তব্য করেছেন, তার পরিপ্রেক্ষিতে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে প্রতিবাদ। বিভিন্ন জায়গায় বিজেপি নেতা, কর্মীরা মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যের নিন্দা করে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন। আর একেবারে কলকাতার মানিকতলাতেও বিজেপির পক্ষ থেকে করা হলো প্রতিবাদ কর্মসূচি। যেখানে টায়ার জ্বালিয়ে মুখ্যমন্ত্রী সেনা বাহিনীকে উদ্দেশ্য করে যে মন্তব্য করেছেন এবং যেভাবে সেনার অপমান হয়েছে, তার পরিপ্রেক্ষিতে স্লোগান তুলে বিক্ষোভ দেখালেন বিজেপি নেতা কর্মীরা।‌

গেরুয়া শিবিরের দাবি, এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী প্রতিমুহূর্তে সংবিধানকে চ্যালেঞ্জ করেন। গতকাল তিনি সরাসরি সেনাবাহিনীকে অপমান করেছেন, দেশকে যারা রক্ষা করে, সেই সেনাবাহিনীকে অপমান করেন। মুখ্যমন্ত্রী ভেবেছিলেন, তিনি যা বলবেন, সেটাই ঠিক। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের রাষ্ট্রপ্রেমী নাগরিকরা মুখ্যমন্ত্রীর এই অপমানের বিরুদ্ধে গর্জে উঠেছেন। সেনার অপমান কেউ মানবে না। তাই রাজ্যের দিকে দিকে মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যের বিরুদ্ধে এই প্রতিবাদ কর্মসূচি চলছে এবং আগামী দিনে সেই প্রতিবাদ আরও বৃদ্ধি পাবে বলেই দাবি গেরুয়া শিবিরের ঘনিষ্ঠ মহলের।