প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- গতকাল মেয়ো রোডে তৃণমূলের ধর্ণা মঞ্চে যেভাবে সেনাবাহিনী খুলে নিয়েছিল, তারপর থেকেই যেভাবে সেনাবাহিনীকে আক্রমণ করা হয়েছিল, তা নিয়ে গতকাল থেকেই সোচ্চার ছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সেনাবাহিনী তাকে দেখে ভয়ে পালিয়ে গিয়েছে, সেনাবাহিনী বিজেপির কথায় কাজ করছে, ইত্যাদি এমন অনেক মন্তব্য গতকাল করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তারপরেই রাতে সেই মেয়ো রোডে জাতীয় পতাকা হাতে নিয়ে সেনাবাহিনীকে স্যালুট জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যের সমালোচনা করে প্রতিবাদ জানান শুভেন্দু অধিকারী। আজ রাজ্য বিধানসভাতেও প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। যেখানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে সেই সেনাবাহিনীকে অপমান করেন রাজ্যের শিক্ষা মন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলে অভিযোগ বিরোধী দলনেতার। আর তার প্রতিবাদ করার কারণেই অরূপ বিশ্বাসের কথায় তাকে সাসপেন্ড করা হয়েছে বলে দাবি করলেন শুভেন্দু অধিকারী।
সূত্রের খবর, এদিন রাজ্য বিধানসভায় বক্তব্য রাখেন রাজ্য শিক্ষা মন্ত্রী ব্রাত্য বসু। আর সেখানেই তিনি সেনাবাহিনীকে অপমান করেন বলে অভিযোগ করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। আর তার সেই অপমানের পরেই সেনাবাহিনীর প্রতি যে অসম্মান সূচক মন্তব্য, তার প্রতিবাদ করতে ওঠেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আর তিনি সেনাবাহিনীর অপমানের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করছেন দেখে শাসক দলের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের কথায় স্পিকার বিমান বন্দোপাধ্যায় তাকে সাসপেন্ড করেছেন বলে দাবি করেন শুভেন্দুবাবু। আর এরপরেই বিজেপি বিধায়কদের সঙ্গে নিয়ে স্লোগান দিতে দিতে সেনাবাহিনীকে স্যালুট জানিয়ে এবং তৃণমূলকে “পাকিস্তানের দালাল” বলে বাইরে বেরিয়ে আসেন বিরোধী দলনেতা। যার ফলে শোরগোল পড়ে যায় রাজ্য বিধানসভায়।
ইতিমধ্যেই শুভেন্দু অধিকারীর সাসপেন্ড হওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে কটাক্ষ করতে শুরু করেছে গেরুয়া শিবির। তাদের বক্তব্য, এর আগেও বারবার করে মানুষের কথা বলার জন্য বিধানসভায় সাসপেন্ড হতে হয়েছে রাজ্যের বিরোধী দলনেতাকে। বিধানসভা চলে বিরোধীদের জন্য। সেক্ষেত্রে গণতন্ত্রের কন্ঠরোধ করে বারবার বিরোধীরা যাতে কথা বলতে না পারে, তার জন্য স্পিকারকে দিয়ে তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রীরা শুভেন্দু অধিকারীকে সাসপেন্ড করিয়ে তার মুখ বন্ধ করার প্রচেষ্টা চালান। দেশের সেনাবাহিনীকে অপমান করছেন তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রীরা। আর তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে গিয়ে শুভেন্দু অধিকারীকে আবার সাসপেন্ড হতে হয়েছে। এই রাজ্যের বিধানসভার অধ্যক্ষ যে দলদাস, তা ইরও একবার এই ঘটনার মধ্যে দিয়ে প্রমাণিত হয়ে গেল। পাশাপাশি প্রমাণ হয়ে গেল যে, তৃণমূল দেশবিরোধী। আর সেই কারণেই তারা সেনার বিরুদ্ধে মন্তব্য করছে। আর সেনার অপমানের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে গিয়ে জনতার নেতা শুভেন্দু অধিকারীকে সাসপেন্ড করে দেওয়া হলো। যা গণতন্ত্রের পক্ষে অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক বলেই দাবি গেরুয়া শিবিরের ঘনিষ্ঠ মহলের।
