প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
এই রাজ্যে তৃণমূল সরকারের আমলে সব থেকে বেশি যদি কোথাও দুর্নীতি হয়ে থাকে তাহলে সেটা শিক্ষাক্ষেত্রে। শিক্ষার কোমর ভেঙে দিয়েছেন তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রীরা। গোটা শিক্ষা দপ্তরটাই জেলের মধ্যে রয়েছে বলে মাঝেমধ্যেই খোঁচা দেয় বিরোধীরা। তবে রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের দুর্নীতি সম্পর্কে সকলে অবগত থাকলেও, রাজ্যের বর্তমান শিক্ষামন্ত্রীর আমলে শিক্ষাব্যবস্থায় স্বচ্ছতা আছে, এটা অনেকেই ভেবেছিলেন। কিন্তু আজ অনেকের সেই ভাবনা রীতিমত ভেঙে দিয়ে সাংবাদিক বৈঠক থেকে যে বিস্ফোরক অডিও ক্লিপ সামনে আনলেন বিজেপি নেতা শঙ্কুদেব পন্ডা, তাতে প্রশ্ন উঠছে যে, এই অডিও ক্লিপ যদি সত্যি হয়, তাহলে তো আরও একটি বড় কেলেঙ্কারি ফাঁস হয়ে যাবে রাজ্যে? কি ঘটনা ঘটেছে?
এই রাজ্যে নিয়োগ দুর্নীতিতে রীতিমত জর্জরিত তৃণমূল সরকার। তাদের বিভিন্ন নেতা-মন্ত্রীদের নাম জড়িয়ে পড়েছে। অনেকে দীর্ঘদিন জেল খেটে এখন জামিনে মুক্ত হয়েছেন। তবে শিক্ষাক্ষেত্রে নিয়োগের ক্ষেত্রে যে দুর্নীতি তৃণমূলের সরকারের নেতা-মন্ত্রীরা করেছে, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত বিরোধীরা। আর এসবের মধ্যেই এবার আরও এক দুর্নীতির তথ্য সামনে আনলেন বিজেপি নেতা শঙ্কুদেব পন্ডা। বর্তমান শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু সম্পর্কে একটি ভয়ংকর অডিও ক্লিপ প্রকাশ করলেন তিনি। যদিও বা এই অডিও ক্লিপের সত্যতা যাচাই করেনি প্রিয়বন্ধু মিডিয়া।
এদিন একটি অডিও ক্লিপ সামনে এনে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন বিজেপি নেতা শঙ্কুদেব পন্ডা। যেখানে তিনি দাবি করেন যে, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এবং এক অধ্যাপকের অডিও ক্লিপের মধ্যে দিয়েই এটা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে যে, এখনও পর্যন্ত শিক্ষাক্ষেত্রে টাকা তোলার রমরমা চলছে। শঙ্কুদেব পন্ডা বলেন, “শিক্ষায় সর্বস্তরে দুর্নীতি শুরু হয়েছে। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে কেন সরানো হবে না? কেন তার বিরুদ্ধে অ্যাকশন নেওয়া হবে না? যারা এই ঘটনায় যুক্ত, আমরা তাদের সাসপেনশন চাই। যাদবপুরের রেজিস্টারকে টাকা তোলার জন্য নিযুক্ত করা হচ্ছে। শিক্ষামন্ত্রীর কাছ থেকে টাকা তোলার নির্দেশ আসছে। অবিলম্বে শিক্ষামন্ত্রী পদত্যাগ করুন।”