প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
এসআইআর হওয়ার পর থেকেই তৃণমূলের ছটফটানি এবং আতঙ্ক যেন অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে, যেভাবেই হোক, এসআইআরকে বন্ধ করার জন্য সবরকম চেষ্টা করছেন মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী। কারণ তিনি খুব ভালো মতই জানেন যে, এসআইআর যে গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে, তাতে অবৈধ অনুপ্রবেশকারী, বাংলাদেশীদের নাম বাদ যাবে। আর তাদের নাম বাদ গেলে অবৈধ ভোটার বলে কিছু থাকবে না। এতদিন এই সমস্ত অবৈধ ভোটারদের কাজে লাগিয়েই তৃণমূল ক্ষমতায় টিকে ছিল। ফলে তাদের নাম বাদ যাওয়ায় ক্ষমতা হারানোর আশঙ্কা তৈরি হয়েছে শাসক দলের অন্দরমহলে। আর সেই কারণেই সেই সমস্ত অনুপ্রবেশকারীদের ভোটার তালিকায় রাখতে এসআইআর বন্ধ করার মরিয়া চেষ্টা শুরু করে দিয়েছে এই রাজ্যের শাসক দল বলেই অভিযোগ করছে বিরোধীরা। আর এই পরিস্থিতিতে আগামী ৬ ডিসেম্বর প্রত্যেক বছর যে সংহতি দিবসের আয়োজন করে তৃণমূলের সংখ্যালঘু সেল, এবার সেই কর্মসূচি আরও বড় আকারে পালন করা হতে পারে বলেই খবর পাওয়া যাচ্ছে। তবে তৃণমূল যখন এসআইআরের বিরোধিতা করে এই কর্মসূচি পালন করছে, তখন তার উদ্দেশ্য নিয়েই প্রশ্ন তুলে দিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার। তার দাবি, হিন্দুদের ভয় দেখানোর চেষ্টা করছে তৃণমূল।
এই রাজ্যে এখন সব থেকে বড় চর্চার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে এসআইআর। পশ্চিমবঙ্গের পাশাপাশি আরও অন্যান্য রাজ্যে এসআইআর হচ্ছে। কিন্তু সেখানকার শাসক দল এত তার বিরোধিতা করছে না। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গেই কেন এত বিরোধিতা করছে তৃণমূল কংগ্রেস, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে বিজেপি। তাদের একটাই বক্তব্য যে, অনুপ্রবেশকারীদের ভোটব্যাংক হিসেবে ব্যবহার করছে তৃণমূল। আর সেই কারণেই তাদের নাম যাতে বাদ না যায়, তার জন্যই এসআইআর বন্ধ করার দাবি জানাচ্ছেন তৃণমূলের নেতা নেত্রীরা। আর তার মধ্যেই আগামী ৬ ডিসেম্বর সংহতি দিবস এবার আরও বড় আকারে পালন করতে চলেছে রাজ্যের শাসক দল। তবে সেই কর্মসূচির উদ্দেশ্য নিয়েই বড় প্রশ্ন তুলে দিলেন সুকান্ত মজুমদার।
এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার। আর সেখানেই এসআইআরের বিরোধিতা করে তৃণমূল এবার ডিসেম্বর মাসে সংহতি দিবস আরও বড় আকারে পালন করছে বলে তার প্রতিক্রিয়া জানতে চান সাংবাদিকরা। আর সেই ব্যাপারে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে তৃণমূলকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি। সুকান্তবাবু বলেন, “এই সমাবেশের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে, হিন্দুদের ভয় পাওয়ানোর চেষ্টা করা। এটা বরাবরই তৃণমূল কংগ্রেস করে আসছে। ২১ এর বিধানসভা নির্বাচনের পর যে ভোট পরবর্তী হিংসা হয়েছিল, তাতে তৃণমূলের হিন্দুর নেতারা সামনে ছিল, কিন্তু পেছনে পুরো জেহাদি মুসলিমদের ব্যবহার করা হয়েছিল। রাম মন্দির ভারতবর্ষে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। তৃণমূলের সংখ্যালঘু, সংখ্যাগুরু সেল, যেই চেষ্টা করুক, ভারতবর্ষ থেকে রাম মন্দির কেউ হটাতে পারবে না। এটা রামের দেশ। রামের রাজ্য। রাম রাজ্য প্রতিষ্ঠা হবে পশ্চিমবঙ্গে।”