প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
এই রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস খুব ভালো মতই বুঝতে পেরেছে যে, এসআইআর হলে তাদের ক্ষমতায় টিকে থাকা মুশকিল। কারণ এসআইআর হলে অনুপ্রবেশকারী থেকে শুরু করে ভুয়ো ভোটারদের নাম বাদ যাবে। আর এতদিন এই সমস্ত অবৈধ ভোটারদের কাজে লাগিয়ে তৃণমূল একের পর এক বৈতরুণী পার হয়েছে। তাই এসআইআরের বিরুদ্ধে জেলায় জেলায় তৃণমূলের বিভিন্ন নেতা নেত্রীরা বিজেপিকে হুমকি হুঁশিয়ারি দিতে শুরু করেছেন। আর এবার রাজ্যের উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী উদয়ন গুহ যে মন্তব্য করলেন, তারপর আরও বেশি করে স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে যে, এই রাজ্যের শাসক দল এসআইআরের আতঙ্কে রীতিমতো থরথর করে কাঁপতে শুরু করেছে। আর আতঙ্ক এতটাই বৃদ্ধি পেয়েছে যে, রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকেও কদর্য আক্রমণ করতে বাকি রাখছেন না এই সমস্ত নেতা-মন্ত্রীরা। অন্তত তেমনটাই বলছে বিরোধীরা।

ইতিমধ্যেই এসআইআর নিয়ে জেলায় জেলায় তৃণমূল নেতা-নেত্রীদের হুমকি হুঁশিয়ারি দিতে শোনা যাচ্ছে। কখনও পার্থ ভৌমিক, কখনও বা সাবিনা ইয়াসমিন, কখনও বা বামদেব মন্ডল। একের পর এক তৃণমূলের নেতা নেত্রীরা বিজেপি নেতাদের শায়েস্তা করার হুঁশিয়ারি দিচ্ছেন। এসআইআর হলে কোনো বৈধ ভোটারের নাম যদি বাদ যায়, তাহলে বিজেপি নেতাদের বেধে রাখার নিদান দিচ্ছেন। তবে এই সমস্ত কিছুকে পেছনে ফেলে রাজ্যের বিরোধী দলনেতাকে কদর্য আক্রমণ করে বিতর্কের শিরোনামে উঠে এলেন রাজ্যের উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী উদয়ন গুহ।

এদিন দিনহাটায় তৃণমূলের একটি কর্মসূচি থেকে রীতিমত শুভেন্দু অধিকারীর বাবা তুলে আক্রমণ করেন উদয়ন গুহ। রাজ্যের এই মন্ত্রী বলেন, “নির্বাচন কমিশন, সেটাও বিজেপির কথামতো চলছে। এই এসআইআর, বিজেপির কথামত শুনে তৃণমূলের ভোটারদের বাদ দেওয়ার চক্রান্ত চলছে। নাহলে শুভেন্দু অধিকারী, ওর এত বড় হিম্মত হয় যে, বলছে, পশ্চিমবঙ্গের ভোটার তালিকা থেকে এক কোটি নাম বাদ দেবে। কেন রে! নির্বাচন কমিশন কি তোর বাপ, যে, তোর কথাতে এক কোটি মানুষের নাম ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেবে!” আর এখানেই বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে, রাজনীতিতে আক্রমণ থাকবে‌‌। কিন্তু তাই বলে শালীনতাকে ভুলে গিয়ে যেভাবে শুভেন্দু অধিকারীর বাবা তুলে আক্রমণ করে বসলেন উদয়ন গুহ, তাতে বোঝা যাচ্ছে যে, এসআইআর হলে তৃণমূলের ছটফটানি আরও অনেকাংশেই বৃদ্ধি পাবে। কটাক্ষ করে তেমনটাই বলছে বিরোধীরা।