প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
এই রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস খুব ভালো মতই বুঝতে পেরেছে যে, পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা নির্বাচনের আগে এসআইআর হবে। আর এসআইআর হলে যে অবৈধ ভোটারের সাহায্যেই এতদিন তারা নির্বাচনে জিতে এসেছে, তা কার্যত বন্ধ হয়ে যাবে। আর সেটা বন্ধ হয়ে গেলে যে তৃণমূলের ক্ষমতায় টিকে থাকাই মুশকিল হবে, তা ভালো মতই উপলব্ধি করতে পারছেন শাসক দলের নেতারা। তাই এখন জেলায় জেলায় তৃণমূল নেতাদের হুমকি, হুশিয়ারি শুরু হয়েছে এসআইআরের বিরুদ্ধে। যতদূর খবর পাওয়া যাচ্ছে যে, নভেম্বর মাসের প্রথমেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এই এসআইআরের বিরোধিতায় একটি সভাও করতে পারেন। আর সেই বিষয়ে প্রশ্ন করতেই সংবিধানের কথা তুলে ধরে এসআইআরকে বন্ধ করার কোনো ক্ষমতা বা যোগ্যতাই যে তৃণমূল কংগ্রেসের নেই, তা আরও দৃঢ়তার সঙ্গে বুঝিয়ে দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

বলা বাহুল্য, ইতিমধ্যেই এসআইআরের বিরোধিতায় সোচ্চার হচ্ছেন তৃণমূল নেতারা। বিভিন্ন জায়গায় এসআইআরের মাধ্যমে কারণ নাম বাদ গেলে রক্তগঙ্গা বইয়ে দেওয়া হবে বলে হুশিয়ারি দিতেও দেখা যাচ্ছে তৃণমূল নেতাদের। যার ফলে বিজেপি পাল্টা দাবি করছে যে, তৃণমূল রীতিমতো আতঙ্কিত। কারণে এসআইআর হলে অবৈধ ভোটারদের নাম বাদ পড়বে। আর তাদের নাম পড়লে তারা ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারবে না জন্যই তৃণমূল এখন মরিয়া চেষ্টা করছে, যাতে এই এসআইআর আটকানো যায়। কিন্তু এটা যে তৃণমূলের পক্ষে সম্ভব হবে না, বাংলায় নির্বাচনের আগে যে এসআইআর হবেই, তা আরও একবার উল্লেখ করে শাসকের চাপ বাড়িয়ে দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।

এদিন শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “ওরা যা খুশি করুক। রাজনৈতিক সভা করবে। কিন্তু এসআইআর বন্ধ করার ক্ষমতা, অধিকার বা যোগ্যতা কোনোটাই ওদের মধ্যে নেই। সংবিধানের ৩২৪ থেকে ৩২৯, বাবাসাহেব আম্বেদকর পরিষ্কার পুরো ক্ষমতা দিয়ে গিয়েছে নির্বাচন কমিশনকে। আর ভারতের নির্বাচন কমিশন সেই ক্ষমতার ফলেই সুপ্রিম কোর্ট, এত বাধা, রাহুল গান্ধী, তেজস্বী যাদবের কত রকমের যাত্রা, তাতে কি হয়েছে? বিহারে এসআইআরও হয়েছে। ৪৭ লক্ষ নাম বাদও গেছে। এসআইআরের মধ্যে দিয়ে হওয়া ভোটার লিস্টকে মেনে নিয়ে সবাই নির্বাচনে মনোনয়ন দিচ্ছে।”