প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
এই রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস এবং তাদের নেতা নেত্রীরা এসআইআর হলে যে অত্যন্ত চাপে পড়ে যাবে, তা তাদের বক্তব্যের মধ্যে দিয়েই স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে। জেলায় জেলায় তৃণমূলের নেতা থেকে শুরু করে জনপ্রতিনিধিরা এখন হুমকি, হুঁশিয়ারি দিতে শুরু করেছেন। এসআইআরে যদি কারও নাম বাদ যায়, তাহলে বিজেপি নেতাদের ছেড়ে কথা বলা হবে না বলেও মন্তব্য করতে দেখা যাচ্ছে তাদের। কিছুদিন আগে এই মালদহ জেলায় তৃণমূলের মন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন এসআইআরে বৈধ ভোটারের নাম বাদ গেলে লন্ডভন্ড করে দেওয়া হবে বলে হুশিয়ারি দিয়েছিলেন। আর এবার সেই রকমই মন্তব্য শোনা গেল মালদহ জেলায় তৃণমূলের আরও এক মন্ত্রী তাজমুল হোসেনের গলায়।
ইতিমধ্যেই গোটা রাজ্যবাসী জেনে গিয়েছেন যে, মালদহের তৃণমূলের এক মন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন লন্ডভন্ড করার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। আর এবার সেই সুরেই সুর মিলিয়ে এসআইআরের বিরুদ্ধে মন্তব্য করতে গিয়ে ফের একই মন্তব্য করে বসলেন সেই মালদাহের এই তৃণমূলের আরও এক মন্ত্রী তাজমুল হোসেন। এদিন দলীয় একটি সভা থেকে রাজ্যের এই মন্ত্রী বলেন, “এসআইআর হচ্ছে, হোক। কিন্তু এসআইআরে যদি কারও নাম বাদ যায়, তাহলে আমরাও ছেড়ে কথা বলব না। আমরাও এই হরিশ্চন্দ্রপুর লন্ডভন্ড করে দেব। কোনো ভোটারের নাম বাদ গেলে আমরাও সকলে মিলে আন্দোলনে নামব।” অর্থাৎ তৃণমূল যে এসআইআরে আতঙ্কিত হয়েই নিজেদের ভোট বৈতরনি পার হওয়ার জন্য এখন থেকেই হুঁশিয়ারি দিয়ে ভয় দেখানোর চেষ্টা করছে এবং সেই কারণেই যে একের পর এক নেতা থেকে শুরু করে মন্ত্রীদের এই ধরনের মন্তব্য, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত একাংশ।
যদিও বা রাজ্যের মন্ত্রী তাজমুল হোসেন এই লণ্ডভণ্ড করার হুঁশিয়ারি দিলেও, তাতে মাথা ঘামাতে নারাজ বিরোধীরা। বিজেপির ঘনিষ্ঠ মহলের দাবি, মালদহ সীমান্তবর্তী এলাকা। সেখানে প্রচুর অবৈধ ভোটারের নাম ভোটার তালিকায় আছে। তৃণমূল কংগ্রেস খুব ভালো মতই জানে, এতদিন এদের সাহায্যেই তারা ক্ষমতায় টিকেছিল। কিন্তু এসআইআর হলে তাদের নাম বাদ যাবে জন্যেই সাবিনা ইয়াসমিন থেকে শুরু করে তাজমুল হোসেনের মত মন্ত্রীরা এখন আতঙ্কিত হয়ে লণ্ডভণ্ড করে দেওয়ার হুশিয়ারি দিচ্ছেন। তবে এসআইআর হলে তৃণমূল দলটাই লন্ডভন্ড হয়ে যাবে। তাদের আর খুঁজে পাওয়া যাবে না। তাই কমিশনকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে মন্ত্রীদের এই ধরনের হুঁশিয়ারি মূলক বক্তব্য অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক বলেই দাবি গেরুয়া শিবিরের ঘনিষ্ট মহলের।