প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- পশ্চিমবঙ্গে ইতিমধ্যেই এসআইআর প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে. তবে সকলের মধ্যে একটাই প্রশ্ন যে, এসআইআর শুরু হয়ে গেলেও যারা বুথ লেভেল অফিসার রয়েছেন, তারা নিরপেক্ষতা সহকারে কাজ করতে পারবেন তো? কারণ অনেক জায়গাতেই ইতিমধ্যেই এসআইআরের ফর্ম বিলিকে কেন্দ্র করে বেশ কিছু প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। কলকাতা থেকে শুরু করে উত্তর 24 পরগনা, এমনকি উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন এলাকায় বাড়ি বাড়ি না গিয়ে একটি নির্দিষ্ট স্থানে বসে সেই ফর্ম বিতরণ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। আর তার ভিত্তিতেই নির্বাচন কমিশন কবে ব্যবস্থা নেবে এই সমস্ত বিএলওদের বিরুদ্ধে, তা নিয়ে বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছিল। অবশেষে এবার সেই সমস্ত বিএলএদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করলো নির্বাচন কমিশন।
প্রসঙ্গত, ইতিমধ্যেই পশ্চিমবঙ্গে এসআইআর প্রক্রিয়া চালু হয়ে গিয়েছে। তবে এসআইআর প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার পর থেকেই বিভিন্ন বিএলওদের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছিল বিরোধীরা। তাদের বক্তব্য ছিল যে, অনেক জায়গাতেই বিএলওরা নিয়ম ভঙ্গ করছেন। এমনকি তারা তৃণমূলের চাপের কাছে নতিস্বীকার করে ফর্ম বিতরণ করছেন। স্বাভাবিক ভাবেই তা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। আর এই পরিস্থিতিতে এবার বাংলার ৮ জন বিএলওর বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নিলো নির্বাচন কমিশন। যেখানে তাদের শোকজ করা হয়েছে। মূলত, ভোটারদের বাড়ি বাড়ি না গিয়ে কোথাও চায়ের দোকানে, আবার কোথাও বা বাসস্ট্যান্ডে বসে, আবার কোথাও বা বিএলওর বদলে তার স্বামী এনুমারেশন ফর্ম বিলি করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। আর তার ভিত্তিতেই সেই সমস্ত বিএলওর বিরুদ্ধে শোকজের মত কড়া পদক্ষেপ নিয়েছেন নির্বাচন কমিশন।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নির্বাচন কমিশনের এই পদক্ষেপ অত্যন্ত প্রয়োজনীয় ছিল। কেননা যদি নির্বাচন কমিশন এইরকম শাস্তি মূলক ব্যবস্থা গ্রহণ না করতো, তাহলে আরও যারা বিএলও আছেন, তারাও নিয়ম ভঙ্গ করে যেভাবেই হোক, ফর্ম ফিল করার একটা রাস্তা খুঁজে নিতেন এবং যেখানে সেখানে বসে সেই ফর্ম বিলি করতেন। কিন্তু যে নিয়ম রয়েছে, সেই নিয়ম অনুযায়ী যে কাজ করতে হবে এবং কোনো প্রভাব বিস্তারের বিষয় যে এর মধ্যে থাকবে না, তা বুঝিয়ে দিলো নির্বাচন কমিশন। যার ফলে ৮ বিএলও শোকজ হতেই বাকিদের মধ্যে কিছুটা হলেও ভয় কাজ করবে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।