প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- পশ্চিমবঙ্গ সহ ১২ টি রাজ্য এসআইআর হচ্ছে। কিন্তু যত গন্ডগোল, যত অশান্তির খবর পাওয়া যাচ্ছে এই বাংলা থেকেই। কারণ বাংলায় যে সরকার রয়েছে, তারা চূড়ান্তভাবে এসআইআর প্রক্রিয়ায় অসহযোগিতা করছে এবং প্রতিমুহূর্তে বিএলওদের ওপর চাপ দেওয়া হচ্ছে, যাতে তারা মিথ্যে তথ্য সিস্টেমে আপলোড করেন। কারণ অবৈধ এবং ভুয়ো ভোটারদের নাম বাদ দিলে তৃণমূল আর ক্ষমতায় থাকতে পারবে না। আর সেই কারণেই তাদের এই ধরনের মিথ্যে তথ্য আপলোডের ক্ষেত্রে চাপ দেওয়া হচ্ছে বলেই অভিযোগ করছে বিরোধীরা। এক্ষেত্রে কমিশনের যারা আধিকারিকরা রয়েছেন, যারা বিশেষ পর্যবেক্ষক হিসেবে দায়িত্ব রয়েছেন, তাদের আরো বেশি করে পদক্ষেপ গ্রহণ করার দাবিও উঠেছিল বিরোধীদের পক্ষ থেকে। আর এবার সরেজমিনে গোটা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে একেবারে গ্রাউন্ড জিরোতে পৌঁছে গেলেন নির্বাচন কমিশনের বিশেষ পর্যবেক্ষক।

ইতিমধ্যেই পশ্চিমবঙ্গে এসআইআর প্রক্রিয়ায় অনেক মানুষের নাম বাদ গিয়েছে। সঠিকভাবে এসআইআর হলে সেই সংখ্যাটা ১ কোটির কাছাকাছি পৌঁছে যাবে বলেই দাবি করছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতার শুভেন্দু অধিকারী। আর এসবের মধ্যেই অনেক জায়গাতেই এসআইআর প্রক্রিয়ায় ত্রুটি রয়েছে বলে দাবি উঠেছিল। বিরোধীদের পক্ষ থেকে অনেকেই বলেছিলেন যে, যারা বিএলও আছেন, তারা হয়ত নিরপেক্ষতা সহকারে কাজ করতে চাইছেন। কিন্তু তৃণমূল নিজেদের ভোট বাঁচানোর জন্য অবৈধ ভোটারদের নাম রেখে দেওয়ার জন্য সেই সমস্ত বিএলওদের ওপর চাপ দিয়ে তারা যাতে মিথ্যে তথ্য সিস্টেম আপলোড করেন, তার জন্য কৌশল বেছে নিয়েছে। তবে এবার গোটা পরিস্থিতি একেবারে খতিয়ে দেখতে এবং এসআইআর প্রক্রিয়া ঠিকমত হচ্ছে কিনা, তার জন্য বাড়ি বাড়ি পৌঁছে গেলেন নির্বাচন কমিশনের বিশেষ পর্যবেক্ষক।

সূত্রের খবর, এদিন তপসিয়া এলাকায় পৌঁছে যান নির্বাচন কমিশনের বিশেষ পর্যবেক্ষণ সি মুরুগান। যেখানে বাড়ি বাড়ি গিয়ে এতদিন ধরে যে তথ্য বিএলওরা সংগ্রহ করেছেন, যেভাবে তারা ফর্ম জমা নিয়েছেন, তা সঠিক রয়েছে কিনা, তা খতিয়ে দেখেন তিনি। এক্ষেত্রে মানুষের সঙ্গে কথা বলে বিএলওদেল দেওয়া তথ্যের সঙ্গে বাস্তবের কতটা মিল রয়েছে, তাও দেখার চেষ্টা করেন নির্বাচন কমিশনের বিশেষ পর্যবেক্ষক। স্বাভাবিকভাবেই এসআইআর প্রক্রিয়াকে সফল করতে নির্বাচন কমিশনের এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানাচ্ছেন জনসাধারণ।