প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যখনই বুঝতে পারেন যে, তিনি কোনো কিছুতে পেরে উঠছেন না, তখনই তিনি বিভিন্ন হুমকি, হুঁশিয়ারি দিতে শুরু করেন। এসআইআরের ফলে পশ্চিমবঙ্গে যে সমস্ত অবৈধ ভোটার ছিলো, তাদের নাম যে বাদ চলে যাচ্ছে, তা ইতিমধ্যেই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। প্রায় ৬০ লক্ষের কাছাকাছি নাম বাদ দিয়েছে। খসড়া তালিকা সামনে আসার পর পরবর্তীতে আরও অনেক নাম বাদ যেতে যেতে পারে এবং সংখ্যাটা প্রায় ১ কোটির কাছাকাছি পৌঁছে যাবে বলেই দাবি করছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আর তার মাঝেই এবার আসল সত্যিটা বুঝতে পেরেই কি থরহরিকম্প শুরু হয়ে গিয়েছে তৃণমূলের অন্দরমহলে? আর সেই কারণেই কি গতকাল কৃষ্ণনগরের সভা থেকে ধর্নায় বসার হুমকি দিলেন এই রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান?
এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী প্রথম দিন থেকে দাবি করেছিলেন যে, তিনি নাকি এসআইআর হতে দেবেন না। পরবর্তীতে পশ্চিমবঙ্গে এসআইআর শুরু হয়ে গিয়েছে এবং ইতিমধ্যেই তথ্য আপলোডের প্রক্রিয়াও শেষ হয়ে গিয়েছে। আর এসআইআর প্রক্রিয়ার একদম শেষ লগ্নে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বুঝতে পারছেন, যেভাবে অবৈধ ভোটারদের নাম বাদ যাচ্ছে, তাতে এদেরকে কাজে লাগিয়ে এতদিন তার দল ক্ষমতায় আসলেও, এবার আর সেই কৌশল তারা রপ্ত করতে পারবে না। আর সেই কারণেই কি আতঙ্ক আরও বাড়তে শুরু করেছে এই রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধানের? গতকাল তিনি যে মন্তব্য করলেন, তার পরিপ্রেক্ষিতে পাল্টা প্রশ্ন তুলছে বিজেপির ঘনিষ্ঠ মহল।
এদিন কৃষ্ণনগরের সভা মঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “দিল্লি থেকে বিজেপি মার্কা কিছু লোককে পাঠানো হচ্ছে। জেলা শাসকদের মাথার ওপরে খবরদারি করার জন্য। আর বলছে দেড় কোটি লোকের নাম বাদ দিতে হবে। ওরা জানে না, বাংলা কারও কাছে ভিক্ষে চায় না। কারও নাম বাদ দিলে ধর্না দিয়ে বসে থাকবো। যতক্ষণ পর্যন্ত ধর্না দেবেন, আপনাদের নাম না তুলবে।” আর মুখ্যমন্ত্রীর এই ধরনের হুমকির পরেই বিজেপির পক্ষ থেকে পাল্টা বলা হচ্ছে যে, এরকম হুমকি তিনি অনেক দিয়েছেন এবং এরকম ধর্নাও তিনি অনেক করেছেন। সব সময় অপরাধীদের বাঁচাতে মুখ্যমন্ত্রী শেষ অস্ত্র হিসেবে এই ধর্না দেওয়ার মত কর্মসূচিকেই বেছে নেন। কিন্তু কোনোভাবেই অবৈধ ভোটারদের তিনি ভোটার তালিকায় রাখতে পারবেন না। মৃত ভোটারদের ভোটার তালিকায় রেখে দেওয়ার যে স্বপ্ন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দেখছেন তিনি, সারা বছর ধরে ধর্না দিলেও তার এই কৌশল কাজে দেবে না বলেই দাবি করছে গেরুয়া শিবিরের ঘনিষ্ঠ মহল।