প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
পশ্চিমবঙ্গের বাইরেও অন্যান্য রাজ্যে এসআই আর হচ্ছে। কিন্তু সেখানে যেভাবে এই প্রক্রিয়ায় সহযোগিতা করছে সেই রাজ্যের সরকার, পশ্চিমবঙ্গে উল্টে ঠিক সেই প্রক্রিয়াকে কিভাবে বানচাল করা যায়, কিভাবে অবৈধ ভোটারদের ভোটার তালিকায় রাখা যায়, তাতে পরিকল্পনা করে এই প্রক্রিয়াকে ভেস্তে দিতে সব রকম চেষ্টা শুরু করেছে তৃণমূল সরকার। তেমনটাই অভিযোগ করছে বিরোধীরা। আর এসবের মাঝেই এবার রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এবং তার সরকারের বিরুদ্ধে ভয়ংকর তথ্য সামনে আনলেন‌। ইতিমধ্যেই দেখা যাচ্ছে যে, বিএলওরা, যাদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ফর্ম দিতে হচ্ছে, আবার ফর্ম তুলে আনতে হচ্ছে, তাদেরই ওপর দায়িত্ব পড়েছে গোটা প্রক্রিয়াটি এন্ট্রি করার। স্বাভাবিকভাবেই দিনরাত এক করে তারা এত কাজের চাপ কি করে নেবেন, এই প্রশ্ন তুলে অনেক জায়গায় বিএলওরা বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন। আবে বিএলওদের ওপর এই অতিরিক্ত চাপ পড়ছে শুধুমাত্র রাজ্য সরকারের ঢিলেমি প্রক্রিয়ার জন্য। অন্যান্য রাজ্যে এই প্রক্রিয়াকে সম্পন্ন করার ক্ষেত্রে ডেটা এন্ট্রি অপারেটর নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হলেও, পশ্চিমবঙ্গে এখনও পর্যন্ত সেই প্রক্রিয়া শুরু করা হয়নি। আর এর পেছনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। কারণ তিনি চাইছেন, যাতে এসআইআর প্রক্রিয়া হলেও অবৈধ ভোটার থেকে যায়। আর সেই কারণেই বিএলওদের ওপর যাতে চাপ পড়ে এবং তারা যাতে এই কাজ করতে অস্বীকার করেন, তার জন্যই চূড়ান্ত অসহযোগিতা করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তার সরকার ডেটা এন্ট্রি অপারেটর নিচ্ছেন না বলেই বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন রাজ্যর বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

ইতিমধ্যেই পশ্চিমবঙ্গে এসআইআর প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। তবে অনেক জায়গাতেই বিএলওরা বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেছেন। তারা চূড়ান্ত অসন্তোষ প্রকাশ করছেন। তারা বলছেন যে, এত কাজের চাপ তারা নিতে পারছেন না। দিনরাত এক করে তারা ফর্ম দিয়ে আসছেন, আবার সেই ফর্ম তুলছেন। আর তার ওপর তাদের ওপর দায়িত্ব পড়েছে এন্ট্রি করার। স্বাভাবিক ভাবেই একটা ফর্ম এন্ট্রি করতে তাদের ১৫ মিনিট করে সময় লাগছে। ফলে দিনরাত এক করে তারা যেভাবে কাজ করছেন, তাতে তাদের সাংসারিক বা ব্যক্তিগত কাজ করার কোনো সময় খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। তাই তারা এই প্রক্রিয়ার বিরুদ্ধে অনেক জায়গাতেই সোচ্চার হচ্ছেন। তবে বিএলওদের ওপর এত চাপ পড়েছে শুধুমাত্র রাজ্য সরকারের অসহযোগিতা করার জন্য। এদিন তেমনটাই অভিযোগ করে অন্যান্য রাজ্য এই প্রক্রিয়াকে সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার ক্ষেত্রে ডেটা এন্ট্রি অপারেটর নিয়োগ করলেও, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে এই প্রক্রিয়া এই রাজ্যে শুরু হয়নি বলেই দাবি করলেন শুভেন্দু অধিকারী।

এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আর সেখানেই তিনি বলেন, “বিএলওরা আজকে বলছেন যে, প্রেশার হচ্ছে। বলছেন যে, ফর্ম দেওয়া এবং নেওয়াটা আমাদের কাছে প্রেশার ছিল না। প্রেসার হচ্ছে এন্ট্রি। এক একটা এন্ট্রি করতে ১৫ মিনিট মিনিমাম যাচ্ছে। এই যে তাদের এই যন্ত্রণাটা, এর জন্যও তো মমতা ব্যানার্জি দায়ী। বিহারে নীতিশ কুমারের সরকার ডেটা এন্ট্রি নিয়েছে‌। অন্যান্য রাজ্য করছে। তামিলনাড়ুতে মমতা ব্যানার্জির বন্ধু মুখ্যমন্ত্রী আছে। সে বিরোধিতা করছে না। এখানে আপনি বিরোধ করিয়ে চাইছেন, যাতে ভুয়ো ভোটার থেকে যায়। আপনি মমতা ব্যানার্জি নিশ্চিন্ত থাকুন, আইপ্যাক নিশ্চিন্ত থাকুন, ভাইপোবাবু নিশ্চিন্ত থাকুন, ত্রুটিমুক্ত ভোটার তালিকা যতক্ষণ না বের হচ্ছে, ততক্ষণ ভোট হবে না। আর ভোট না হলে কি হবে, সংবিধানে লেখা রয়েছে। আপনারা জানেন।”