প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- পশ্চিমবঙ্গে ইতিমধ্যেই এসআইআর শুরু হয়ে গিয়েছে। আর এসআইআরের ভয়ে তৃণমূল রীতিমত কাঁপতে শুরু করে দিয়েছে। তবে অনেক জায়গাতেই প্রশাসনকে কাজে লাগিয়ে ভুতুড়ে ভোটারদের এখনও পর্যন্ত ভোটার তালিকায় রাখায় মরিয়া চেষ্টা করছে রাজ্যের শাসক দল বলেই অভিযোগ বিরোধীদের। তবে শেষ পর্যন্ত যাতে একটাও ভুতুড়ে ভোটার না থাকে, তার জন্য সর্বশেষ সুযোগ রয়েছে হিয়ারিং প্রক্রিয়ায়। তাই সেই প্রক্রিয়া যাতে সুষ্ঠুভাবে হয় এবং সেখানে যাতে সিসিটিভি ক্যামেরার নজরদারির মাধ্যমে হেয়ারিং হয়, বর্তমানে সেই দাবি তুলে ধরেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। গতকাল দিল্লি থেকে ফিরে বাস্তব অংক বুঝিয়ে হেয়ারিংয়ে সিসিটিভি ক্যামেরা ছাড়া যে কোনোমতেই গোটা প্রক্রিয়া সফলতা পাবে না, তা স্পষ্ট করে দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।
গতকালই দিল্লিতে গিয়ে একাধিক বৈঠক করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। পরবর্তীতে গভীর রাতে ফের রাজ্যে ফিরে আসেন তিনি। আর রাজ্যে পা রেখেই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়েছিলেন। যেখানে তিনি স্পষ্ট ভাষায় বুঝিয়ে দেন যে, এসআইআরে এখনও পর্যন্ত অনেক জায়গায় সফলভাবে গোটা প্রক্রিয়া হলেও, অনেক জায়গাতেই ভুতুড়ে ভোটারদের নাম রেখে দেওয়া হচ্ছে। তবে এই ভুতুড়ে ভোটারদের নাম বাদ দেওয়ার ক্ষেত্রে এখনও সুযোগ রয়েছে। আর সেই সর্বশেষ সুযোগ হচ্ছে হেয়ারিং প্রক্রিয়া। কিন্তু এই হেয়ারিং প্রক্রিয়াকে নিরপেক্ষভাবে সম্পন্ন করার ক্ষেত্রে সিসিটিভির নজরদারি প্রয়োজন। তা না হলে অনেক ভুতুড়ে ভোটার জায়গা করে নিতে পারে। পরবর্তীতে তাদের সরাতে সমস্যা তৈরি হতে পারে। তাই হায়ারিং যাতে সিসিটিভির নজরদারিতে হয়, তার জন্য যে তিনি তার অবস্থানে অনড় রয়েছেন, তা স্পষ্ট করে দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।
এদিন সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। যেখানে তিনি বলেন, “যে ব্লক অফিসগুলোতে হিয়ারিং হবে, সেই ব্লক অফিসগুলো অধিকাংশই তো গুন্ডাদের হাতে। আর যারা হিয়ারিং নেবে, এই AERO রা শানু বক্সীদের মত, এরাই তো বাংলাদেশী মুসলিম এবং মৃতদের নাম ভোটার তালিকায় তুলেছে। তাই যাদের নামের ২০০২ এর সঙ্গে মিল হয়নি, তাদের যখন হিয়ারিংয়ে ডাকা হবে, সেটা যদি লাইভ কাস্টিং করে নির্বাচন কমিশনের আধিকারিকরা মনিটরিং না করেন, তাহলে তো সেই লোকগুলোর নাম এরা রেখে দেবে। আর ফাইনাল ভোটার লিস্ট ১৪ ফেব্রুয়ারি বেরিয়ে যাওয়ার পরে, সেটা অভিযোগ করা যাবে। কিন্তু কাটা তো খুব সমস্যার ব্যাপার। আর তখন যিনি অভিযোগ করবেন, তাকেই প্রমাণ নথি দিতে হবে। কিন্তু এখন নির্বাচন কমিশন ১৪ ডিসেম্বরের পরে যাদেরকে নোটিশ করবে, তাদেরকেই নথি দিতে হবে। স্বাভাবিকভাবেই হেয়ারিংয়ে নিরপেক্ষতা না থাকলে অ-ভারতীয়রা এবং ভূতেরা ভোটার তালিকায় থেকে যাবে।”