প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
শেষ পর্যন্ত সমস্ত বাধা, হুমকিকে তোয়াক্কা না করে পশ্চিমবঙ্গের জন্যেও এসআইআরের ঘোষণা করে দিলো জাতীয় নির্বাচন কমিশন। তৃণমূলের নেতারা এতদিনে এসআইয়ারের বিরুদ্ধে অনেক কথা বলেছিলেন। কিন্তু গতকাল দিল্লি থেকে সাংবাদিক বৈঠক করে জাতীয় নির্বাচন কমিশনার পশ্চিমবঙ্গ সহ ১২ রাজ্যের জন্য আজ থেকেই এসআইআর লাগু করার কথা জানিয়ে দিয়েছেন। তবে নির্বাচন কমিশন যখন সাংবাদিক বৈঠক করবে বলে জানিয়েছে, ঠিক তার কিছু সময় আগেই নবান্ন থেকে রীতিমত জেলা প্রশাসনে ঢালাও রদলবদল করে দেওয়া হলো। প্রচুর জেলাশাসক থেকে শুরু করে অতিরিক্ত জেলাশাসক, এমনকি বিডিও, এসডিও স্তরেও ব্যাপক বদল এসেছে। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন যে, যেদিন এসআইআরের ঘোষণা করা হবে, ঠিক তার আগের মুহূর্তেই এইরকম সিদ্ধান্ত কেন নেওয়া হলো নবান্নের পক্ষ থেকে? বিরোধীরা বলছেন, এসআইআর প্রক্রিয়া যাতে নতুন দায়িত্ব নেওয়া আধিকারিকরা বুঝে উঠতে না পারেন, যাতে সেই প্রক্রিয়ায় বিলম্বিত হয় এবং সঠিকভাবে এসআইআর না হয়, তার জন্যই এই ফর্মুলা কষে ফেলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে বিরোধীদের এই কটাক্ষের মাঝেই গোটা বিষয়ে যে তাদেরও যথেষ্ট নজর রয়েছে, তা স্পষ্ট করে দিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার।

প্রসঙ্গত, গতকাল এসআইআরের ঘোষণা হওয়ার আগেই রাজ্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রশাসনিক স্তরে ব্যাপক রদবদলের কথা ঘোষণা করা হয়। একাধিক জেলাশাসক থেকে শুরু করে অতিরিক্ত জেলাশাসকদের বদলি করে দেওয়া হয়। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করে যে, এসআইআরের আগেই কি গোটা বিষয়টিকে গুলিয়ে দেওয়ার জন্য জেলায় জেলায় নতুন জেলাশাসক পাঠাচ্ছে নবান্ন? তবে এসবের মাঝেই এই রদবদলের পেছনে কোন গুরু মন্ত্র কাজ করছে এবং গোটা বিষয়ে যে তাদের নজরদারি রয়েছে, তা পরিষ্কার ভাষায় বুঝিয়ে দিলেন রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি।

এদিন সুকান্ত মজুমদার বলেন, “আমরাও অর্ডার দেখেছি। আর কিছুদিন যাওয়ার পর এরা জয়েন করলে এদের কেন বদলানো হলো এবং নতুনদের কেন আনা হলো, এর উদ্দেশ্যটা কি এবং কার কাছ থেকে গুরু মন্ত্রটা পেয়েছে, সেটা পরিষ্কার হয়ে যাবে। আমরাও নজরদারি রাখছি। এই সমস্ত ডিএম, এডিএমরা তারা যদি নিয়ম না মেনে তৃণমূল কংগ্রেসের দলদাস হয়ে কাজ করে, তাহলে কিন্তু আমরাও গণতান্ত্রিকভাবে সর্বশক্তি দিয়ে তা আটকাব।”