প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
এই রাজ্যে এসআইআরকে যখন কোনোভাবেই আটকানো যায়নি, যখন এসআইআর প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে, তখন তৃণমূলের পক্ষ থেকে বিভিন্ন দাবি করা হচ্ছে, বর্তমানে রাজ্যের শাসক দল যেখানেই যে মৃত্যুই হচ্ছে, সেখানে সেই মৃত্যুর কারণ হিসেবে এসআইআরকে দায়ী করতে শুরু করেছে। এমনকি সেই মৃত্যুকে হাতিয়ার করে তারা নোংরা রাজনীতি করছে বলেও অভিযোগ তুলছে বিরোধীরা। আর তৃণমূলের এই অপচেষ্টা যে এসআইআরকে আটকানো এবং বানচাল করার জন্যই, সেই সম্পর্কে দ্বিমত নেই বিজেপির ঘনিষ্ঠ মহলের। গোটা রাজ্যজুড়েই তৃণমূল এখন একটা রব তুলেছে যে, এসআইআর নিয়ে মানসিক চাপের কারণেই একের পর এক মানুষের মৃত্যু হচ্ছে। এমনকি বিএলওদের ওপর কাজের ক্ষেত্রে ব্যাপক চাপ পড়ছে। তাই তারা অনেক জায়গায় অসুস্থ হয়ে পড়ছেন বলেও দাবি করছে এই রাজ্যের শাসক দল। তবে মমতা ব্যানার্জি এবং তার সরকারের কারণে এই পশ্চিমবঙ্গে কত মানুষের মৃত্যু হয়েছে, এবার পাল্টা সেই তথ্য তুলে ধরলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

ইতিমধ্যেই এই রাজ্যে এসআইআর প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। বিরোধীরা আপাতত এসআইআরের যে গতি পশ্চিমবঙ্গে চলছে, তাতে সন্তুষ্ট। তারা দাবি করছে যে, কোনোভাবেই এসআইআরকে আটকাতে না পেরে এখন তৃণমূলের আতঙ্ক বৃদ্ধি হতে শুরু করেছে। আর সেই কারণেই তারা যেখানেই মৃত্যু হচ্ছে, যদি কোনো স্বাভাবিক মৃত্যুও কোনো মানুষের হতে থাকে, তাহলে তার জন্য এসআইআরকে দায়ী করে ঘোলা জলে মাছ ধরার সমস্ত চেষ্টা শুরু করে দিয়েছে বলেই অভিযোগ। তবে এসআইআর আতঙ্কে তৃণমূল যখন একের পর এক মৃত্যু হচ্ছে বলে দাবি করছে, তখন পাল্টা মমতা ব্যানার্জি এবং তার সরকারের আমলে কত মানুষের মৃত্যু হয়েছে, সেই পরিসংখ্যান সামনে আনলেন শুভেন্দু অধিকারী।

এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আর সেখানেই এসআইআর নিয়ে তৃণমূলের পক্ষ একের পর এক মানুষের মৃত্যু সংক্রান্ত যে দাবি আসছে, এই বিষয়ে তাকে প্রশ্ন করা হয়। আর সেই প্রশ্নের উত্তরে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, “আমি কয়েক হাজার লোকের তালিকা দিয়ে দেব। বিষাক্ত মদ খেয়ে যারা মমতা ব্যানার্জির আমলে মারা গিয়েছে, তার জন্য দায়ী মমতা ব্যানার্জি। সুবল সোরেন সহ যে যোগ্য শিক্ষকরা মানসিক চাপে মারা গিয়েছেন, আত্মহত্যা করেছেন, তার জন্য দায়ী মমতা ব্যানার্জি। যত কারখানায় তালা লাগিয়েছে, শ্রমিকরা আত্মহত্যা করেছে, তার জন্য দায়ী মমতা ব্যানার্জি।”